অনলাইন ডেস্ক:
চারদিকে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, বলৎকার, লুটেরাদের লুটপাট আর চাল-ডাল-তেল-আলু-সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বাজারে আগুন। জনগণ পুড়ে মরছে। নেভানোর কেউ আছে বলে মনে হয় না মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
সোমবার (১২ অক্টোবর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, এরই মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল-পেয়াজ, আলুসহ পণ্যের মুল্য আকাশ ছুঁয়েছে। জিনিসের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। অবস্থা দৃষ্টে প্রশ্ন জাগে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ: সরকারের ব্যর্থতা না দুর্বলতা ? নাকি পুরো বাজার ব্যবস্থাই সিন্ডিকেটের দখলে।
নেতৃদ্বয় বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিম্নআয়ের মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। বাজারে চাল, ডাল, তেল, নুন, পেঁয়াজ, আলু, শাকসবজি থেকে শুরু করে এমন কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নেই, যার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে না। নিম্নআয়ের মানুষ যা আয় করছে, তার পুরোটাই জীবনধারণের জন্য ন্যূনতম খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদির জন্য ব্যয় করার মতো অর্থ তাদের হাতে থাকছে না।
তারা আরো বলেন, বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলছে। একবার যে পণ্যের দাম বাড়ে, তা আর কমে না। পরিস্থিতিই প্রমান করছে লুটপাট-দুর্নীতি, নারী নির্যাতন-ধর্ষন, বাজার নিয়ন্ত্রন সকল ক্ষেত্রেই সরকারের ব্যর্থতার তালিকা ক্রমান্বয়ে বড় হচ্ছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, এত ব্যর্থতার পরও সরকারের মন্ত্রীরা নিজেদের ব্যর্থতার আড়াল করতে যখন অতিকথনে ব্যর্থ থাকেন তখন দেশের মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছে। এই হতাশা থেকে ক্ষুব্দতা আর তা থেকে জন বিষ্ফোরন ঘটতে পারে, যা কারোর জন্যই শুভ হবে না।