অনলাইন ডেস্ক: মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের চুড়ারগাতি গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ছোটভাইয়ের বাড়িতে বড় ভাইয়ের হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বসতবাড়ি ফাঁকা পেয়ে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাটের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি দীপক বিশ্বাস।
গতকাল (১০ অক্টোবর) রাতে ওই পরিবারের লোকজনকে দফায় দফায় হামলা ও মারধর করে দীপকের আপন ছোট ভাই ক্ষমতাধর দিপুল বিশ্বাস, দিপংকার বিশ্বাস ও তার লোকজন। এ ঘটনায় দীপক বিশ্বাসের মেয়ে ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রী ওই রাতে ফেসবুক লাইভে এসে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পরে ঘটনাস্থলে থেকে মহম্মদপুর থানা পুলিশ দিপংকর বিশ্বাসকে আটক করে। সে ওই গ্রামের দুলাল চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে।
এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত রবিবার দুপুর ৩ টার সময় ওই পরিবার জানায় আমরা এখন মাগুরা কোর্টে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাবুখালী চুড়ারগাতি গ্রামের ক্ষমতাধর ইউপি সদস্য অঞ্জলি রানী বিশ্বাসের স্বামী দীপুল বিশ্বাস ক্ষমতার দাপটে এলাকার অন্যান্য হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে কোণঠাসা করে রেখেছেন। বাদ যাননি আপন ছোট ভাই। ক্ষমতা বলে জমির লোভে ২০১৬ সালে পুরাতন বসতবাড়ি থেকে প্রাণ নাশের ভয় দেখিয়ে দীপক ও দিবাকরকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে গতকাল নতুন বাড়িতে লোকজন নিয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। এসময় ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার টাকা পয়সা লুটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই পরিবারের সবাই নিরাপত্তাহীনতায় আছেন বলে জানান তারা।
ভুক্তভোগী দীপক জানান, বাড়িতে কেউ না থাকায় সুযোগ বুঝে বাড়িতে ভাংচুর চালায়। এ সময় ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার টাকা পয়সা লুটপাঠ করে। ভাংচুরের পরে বাড়িতে আসলে আমাকেও তারা মারে। তারা এখন এই বাড়ি থেকে আমাদের উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছে। তাদের ভয়ে গ্রামের লোক আমাদের পাশে দাড়াতেও ভয় পাচ্ছে।
এ বিয়ষে মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তারক বিশ্বাস বলের, ওই পরিবারের সব ভাইগুলো কখনো নিজের পরিবারের লোকজনের সাথে কখনো গ্রামের অন্য পক্ষের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত থাকে। হামলার ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।