স্টাফ রিপোর্টার: যশোরের মণিরামপুরে চুমকি দত্ত (২৮) নামের গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার ময়না তদন্তের রিপোর্টে এ হত্যার আলামত উঠে এসেছে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ৩০ আগস্ট গৃহবধূকে নিজ ঘরে ঝুলে থাকতে দেখে হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সুমন নাগ চুমকিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে স্বামী মৃত্যুঞ্জয়, শাশুড়ী চায়না দত্ত ও দেবর আকাশ দত্তের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় গৃহবধূর স্বামীকে ওই দিনই পুলিশ আটক করে।
চুমকি মণিরামপুর পৌরশহরের তরুন চন্দ্রের মেয়ে এবং পৌরসভার হাকোবা ব্রিজসংলগ্ন এলাকার মৃত্যুঞ্জয় দত্তের স্ত্রী। এদিকে ময়না তদন্ত রিপোর্টের বিষয়টি নিহত গৃহবধূ চুমকির ভগ্নিপতি মিহির মিত্র নিশ্চিত করেন। পরে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই নাজমুস সাকিবও বিষয়টি জানান।
পরিবারের স্বজনরা জানায়, নয় বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। ওই দম্পত্তির চার বছর বয়সী নিহারিকা দত্ত নামে এক মেয়ে রয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মৃত্যুঞ্জয় চুমকিকে মারপিট করে। একপর্যায়ে গলা টিপে ধরে তার মাথা দেওয়ালের সাথে আঘাত করে। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাকে বালিশ চাপা দেওয়া হয়েছে। পরে তারা বিষয়টি আত্মহত্যা বলে প্রচার করে বলে নিহত গৃহবধূর স্বজনদের অভিযোগ।
জানা গেছে, লাশের গলায় ডানপাশে বৃদ্ধাঙ্গুলের ছাপ ছিলো। এছাড়া মারপিটের বিষয়টি শিশু নেহা পুলিশকে জানিয়েছিলো। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই নাজমুস সাকিব জানান, শুক্রবার ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন। এতে ‘হোমো সাইডাল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যা হত্যা হিসেবে বিবেচিত হয়।’তিনি আরো জানান, এ মামলার দ্রুত চার্জশীট দেয়া হবে। তবে, প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে চুমকিকে হত্যা করা হয়েছে।