রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী মহানগরীতে ১৩ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হচ্ছে। এসব মাছের মধ্যে স্যালমন, সুরমা, কালো রুপচাঁদা, লইট্যা, রুপচাঁদা, লবস্টার, চিংড়ি, টোনা, মাইট্যা, কাঁকড়া ও অট্টোপাস অন্যতম। করোনাকালে এখানকার অন্যান্য ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়লেও মহামারীর মধ্যেই নতুন করে সামুদ্রিক মাছের ব্যবসা শুরু করেছেন আব্দুর রহমান ও শুভ হোসেন নামের দুজন যুবক।
এদেও মধ্যে আব্দুর রহমান নগরীর বালিয়াপুকুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগ থেকে পড়ালেখা করে বর্তমানে নগরীর জিরো পয়েন্টে র্যাম আইটি নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। আর শুভ হোসেনের বাসা নগরীর বড়কুঠি এলাকায়। তিনি একটি এনজিওতে কর্মরত।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়ায় বিকল্প হিসেবে অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে সামুদ্রিক মাছের ব্যবসা শুরু করেছেন তারা। সামুদ্রিক এসব মাছ কক্সবাজারের ফিশারি ঘাট ও সেন্টমার্টিন থেকে নিয়ে এসে তারা রাজশাহী নগরীর পদ্মা গার্ডেন এলাকায় বিক্রি করছেন। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে সামুদ্রিক এসব ফুড। ফ্রাই বা বার্বিকিউ করা প্রতি পিস রুপচাঁদা ৩০০টাকা, চিংড়ি ৮০ টাকা, লবস্টার ৭০০টাকা এবং কাঁকড়া ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এবিষয়ে আব্দুর রহমান জানান, মহামারীর মধ্যে তার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম থমকে যাওয়ায় এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। কক্সবাজারের জেলেদের কাছে থেকে মাছগুলো কিনে বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করে রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়। সামুদ্রিক মাছগুলো কাঁচা এবং ফ্রাই বা বার্বিকিউ দুইভাবেই বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই ক্রেতাদের মাঝে সাড়া ফেলেছে এসব সামুদ্রিক মাছ। প্রথম দিনই তারা শতাধিক ক্রেতার কাছে মাছ বিক্রি করেছেন। বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ এসব মাছ ক্রয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এবিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অলক কুমার সাহা বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এটা খুবই ভাল উদ্যোগ। মৎস্য বিভাগ থেকে তাদেরকে পরামর্শ দেয়া হবে।