Friday , 22 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
মুক্তাগাছায় প্রেম করে বিয়ের ৫ দিনের মাথায় প্রেমিক স্বামীর আত্মহত্যা
--সংগৃহীত ছবি

মুক্তাগাছায় প্রেম করে বিয়ের ৫ দিনের মাথায় প্রেমিক স্বামীর আত্মহত্যা

মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ মুক্তাগাছায় প্রেম করে বিয়ে অতপর ৫
দিনের মাথায় প্রেমিক স্বামীর আত্মহত্যা। এ ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের
মাঝে বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোর আনুমানিক
৫টার দিকে উপজেলার মুজাটি মাঠ পাড় গ্রামে। জানা যায়, মুজাটি মাঠ পাড়া
গ্রামের আব্দুল মালেকের কন্যা আল্পনা আক্তারের সাথে একই গ্রামের আব্দুল লতিফের
পুত্র আন্নেছ আলীর সাথে দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। তাদের
প্রেম সম্পর্কের সূত্র ধরে ছেলের পক্ষ মেয়ের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালে মেয়ে
পক্ষ থেকে বলা হয় ছেলে কর্মক্ষম হউক। পরবর্তীতে ছেলে নিজের চেষ্টায় ঢাকায়
একটি কোম্পানীতে চাকুরী নেয়। ছেলে বেশ ভালভাবেই চলছিল তাদের পরিবার
পরিজন নিয়ে। ইতিমধ্যে ছেলে মেয়ের প্রেম গভীর রূপ ধারণ করে। গত ৫ অক্টোবর
ছেলে মেয়ে উভয়েই ময়মনসিংহ নোটারী পাবলিক এফিডেভিট করে বিয়ে করে।
যার এফিডেভিট নং- ২৭৩৫ তারিখ-০৫/১০/২০২০ ইং। এফিডেভিটের পর ৫ লক্ষ টাকা
কাবিন মূলে উভয়ের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর ছেলে ঢাকায় চাকুরীর স্থলে
গিয়ে বাসা ভাড়া করে আসে নব বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে নতুন ভাড়া বাসায়
উঠবে। সে লক্ষ্যে গত ৯ অক্টোবর বিকেলে বাড়ি আসে। ইতিমধ্যে আল্পনা তাদের
বিয়ের বিষয়টি তার বাবা মাকে জানালে তারা ক্ষীপ্ত হয়ে মেয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
মেয়ের বাবা আব্দুল মালেক ছেলের বাবা আব্দুল লতিফসহ তার আত্মীয় স্বজনকে
ডেকে রাতের মধ্যেই এ বিয়ে বানচাল করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। আল্পনাও তার পিতা
মাতা ও ভাইদের চাপের মুখে আন্নেছ আলীর সংসারে যেতে অস্বীকার করে।
আন্নেছ আলীর অভিভাবকরা বিষয়টি রাত পোহালে আইনজীবীর কাছে পরামর্শের
মাধ্যমে ফায়সালা দিবে বলে চলে আসে। এদিকে ভোর রাতেই মনের দু:খে আন্নেছ
আলী বাড়ির পাশের জাম গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিশ খবর পেয়ে
লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে এলাকায় সরেজমিনে আন্নেছের বাড়িতে গেলে পিতা মাতা ভাই
বোনসহ আত্মীয়স্বজনের আহাজারিতে বাতাস ভাড়ী হয়ে উঠে। তারা জানান,
আন্নেছ ও আল্পনার দীর্ঘদিনের প্রেমের বিষয়টি তাদের উভয় পরিবারই জানত। তারা
আন্নেছ কে বলেছিল তুমি কর্ম কর তারপর তোমার কাছে বিয়ে দিব। আন্নেছ

ঠিকই তার কর্ম জুটিয়েছিল। কিন্তু আল্পনার পরিবারের চাপে আল্পনা বিয়ে করেও
আন্নেছের সংসারে না যাওয়ার সিদ্ধান্তেই তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। এদিকে
আল্পনার পিতা আব্দুল মালেকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার মেয়ের বিয়ের
বয়স হয়নি তাই আমি এই বিয়েতে অস্বীকৃতি জানাই এবং ছেলের পরিবারকে
বিষয়টি নিজেরা সুরাহার জন্য বলি। উভয় পক্ষ উকিলের কাছে পারামর্শ করে সিদ্ধান্ত
নিবে বলে জানিয়ে যার যার মতো বাড়ি চলে যান। কিন্তু রাত পোহানোর আগেই
আন্নেছের মৃত্যুর খবর আসে।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply