অনলাইনডেস্ক: শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে এক গৃহকর্মী শিশুকে ধর্ষনের পর তা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪জনকে আটক করেছে পুলিশ। একই সাথে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে ভূক্তভোগী শিশুকে।
এলাকাবাসী, ভিকটিম ও পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, উপজেলার গাছগড়া গ্রামের এক দিনমজুরের সাথে তার স্ত্রীর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তাদের এক শিশু কণ্যাকে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে উপজেলার ঘাইলারা গ্রামের হারুনুর রশিদের (৩৫) কাছে গৃহকর্মী হিসেবে পাঠায়। প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পর রাতের বেলায় গৃহকর্তা হারুন পাশের কক্ষে প্রবেশ করে কিশোরী গৃহকর্মীকে নানা প্রলোভনে ধর্ষণ শুরু করে। একপর্যায়ে বিষয়টি গত একমাস আগে প্রকাশ হয়ে পড়লে স্থানীয় দালালদের মধ্যস্থতায় আড়াই লাখ টাকায় আপোষ-রফা করে। কিন্তু বিষয়টি ফেইচবুকে গত দুইদিন ধরে ভাইরাল হয়ে গেলে নরেচেরে বসে পুলিশ। এতে শিশুটির আত্মীয়রা গোপন করে রাখে শিশুটিকে। পালিয়ে যায় গৃহকর্তা হারুণ অর রশিদও।
পুলিশ ভিকটিম ও অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করা হয়। ৭ অক্টোবর বুধবার সকালে ভিকটিম কিশোরীকে পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার রণকুঠুরা গ্রামে তার ফুফাতো ভাই জাহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে উদ্ধার, আশ্রয়দাতা জাহিদুল, নালিতাবাড়ীরর বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযুক্তের বড় ভাই সাবেক ইউপি সদস্য তাজুল ইসলামসহ মোট ৪জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছেন, কাকরকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ তালুকদার।
এদিকে এ ঘটনায় নালিতাবাড়ী থানায় হারুন অর রশীদসহ ৮জনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন, নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বছির আহাম্মেদ বাদল।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) বিল্লাল হোসেন জানিয়েছেন, ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা ও ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।