স্টাফ রিপোর্টার:: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় একসঙ্গে ননদ-ভাবি দু’জনকে সাপে দংশন করেছে। দু’জনের মধ্যে বিলকিস (৪২) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। খাদেজা (৩২) নামে অপর জনের অবস্থাও আশংকাজনক। বর্তমানে সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন।
মৃত বিলকিস উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের বজ্রাপুর গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে ও চিকিৎসাধীন খাদেজা ঐ আবুল হোসেনের পুত্রবধূ এবং মৃত বিলকিসের ভাই ইউনুস আলী বেল্টুর স্ত্রী।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে খাওয়া দাওয়া ও প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে নিজেদের শোবার ঘরে ননদ-ভাবি (বিলকিস-খাদেজা) ঘুমিয়ে পরেন। হঠাৎ রাত আনুমানিক ১টার দিকে তাদের চিৎকারে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ও এলাকাবাসী এসে বুঝতে পারে তাদের সাপে কেটেছে। সেসময় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বিলকিস এবং খাদেজাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
রামেকে হাসপাতালে তাদেরকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিলকিস মৃত্যু বরণ করেন। এবং খাদেজার শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।
বাগাতিপাড়ায় একসঙ্গে ননদ-ভাবি দু’জনকে সাপে কাটার ঘটনা এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিলকিসের মৃত্যু খবর নিশ্চিত করে জামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আজকে রাতেই তার দাফন সম্পূর্ণ হয়েছে।