অনলাইন ডেস্কঃ
গতকাল বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রী সূচনা বক্তব্যে বলেছেন, ‘আমাদের নদীগুলোর ভাঙন হচ্ছে, ক্ষতি হচ্ছে। নদীগুলো বাঁঁচানোর জন্য ড্রেজিং দরকার। ডেল্টা প্ল্যানের এটাই লক্ষ্য, আমাদের যতগুলো বড় নদী এবং যা আছে, আমরা ড্রেজিং করে নদীর নাব্যতা বজায় রেখে এই বদ্বীপটা রক্ষা করব। আগামী দিনের নতুন প্রজন্মের জন্য কিভাবে এই দেশটা এগিয়ে যাবে, কিভাবে চলবে—সেটাই এখন থেকে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখব বা আমরা নির্দেশনা দিয়ে রাখব।’
ডেল্টা প্ল্যান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘সময়ের বিবর্তনে সেটা কিন্তু সংশোধন করতে হবে, পরিবর্তন করতে হবে, পরিশোধন করতে হবে। এটা নিয়ম। সেটাও আমরা জানি। কিন্তু তার পরও একটা ফ্রেমওয়ার্ক, ধারণাপত্র অথবা একটা দিকনির্দেশনা যদি সামনে থাকে তাহলে যেকোনো কাজ খুব সহজে যারাই ভবিষ্যতে আসুক তারাই করতে পারবে। কারণ আমাদের তো বয়স হয়ে গেছে। আমার তো ৭৪ বছর বয়স। কাজেই সেটাও মাথায় রাখতে হবে। আর কত দিন!’
করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের নগদ অর্থ প্রণোদনা ও সাহায্যের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোনো শ্রেণি যেন বাদ না যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কাজ করেছি। রিকশার পেছনে যারা পেইন্টিং করে তাদের খোঁজ করে সাহায্য দেওয়া হয়েছে। যারা যন্ত্রসংগীতের সঙ্গে যুক্ত, যাদের স্থায়ী চাকরি নেই তাদেরও আমরা সাহায্য করেছি। বিভিন্নভাবে আমরা সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। কাজ করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মোকাবেলা করে আমরা কিভাবে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক গতিটা অব্যাহত রাখতে পারি সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। সবচেয়ে বড় কথা হলো যারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত তাদের পাশে দাঁড়ানো। বাংলাদেশের এখন অবস্থা যে শুধু করোনার জন্য সর্বনাশ হচ্ছে সেটা তো না, প্রাকৃতিক দুর্যোগও আমাদের মোকাবেলা করতে হচ্ছে। অত্যন্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়ে আমরা সেগুলো মোকাবেলা করতে পেরেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আশঙ্কা ছিল বিশাল একটা বন্যা বা দীর্ঘস্থায়ী একটা বন্যা দেখা দিতে পারে। এখনো পানি আছে কিছু কিছু নদীতে। কিছু ভাঙনও হচ্ছে। এবার নদীভাঙনটা ব্যাপক হয়েছে। নদীভাঙনে কিছু কিছু এলাকা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক মানুষ একেবারে ঘরবাড়িহারা হয়েছে। তার পরও এই অবস্থা মোকাবেলায় আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অর্থনৈতিকভাবে আমরা একটা মোটামুটি ভালো অবস্থানে আছি। বাজেটের ঘাটতি এবার আমরা ৬ শতাংশ ধরেছিলাম। এখানে আমার সিদ্ধান্ত ছিল দরকার হলে ১০ শতাংশ ধরব। কিন্তু সেটা আমাদের লাগেনি। কাজেই তার মধ্যে রেখেই আমরা আমাদের অর্থনীতির চাকাটা সচল রাখতে পেরেছি। কারণ রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ একমাত্র রাজনৈতিক দল যার একটা ইকোনমিক পলিসি আছে, সেটা মাথায় রেখেই আমরা কিন্তু কাজ করে যাই।’