হোছাইন মোঃ তারেক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
চলতি আমন মৌসুমের এ সময়ে রোপা-আমন ধান পরিচর্যা করছেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কৃষক ও শ্রমিকরা। বোরো কর্তন শেষে রোপা-আমন চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নামেন তারা। বর্তমানে ধান গাছের পরিচর্যায় যেন দম ফেলার সময় নেই তাদের। কৃষি নির্ভর এ অঞ্চলের প্রায় ৮০ভাগ মানুষের ফসল উৎপাদন ও পরিচর্যায় ব্যাস্ত সময় কাটে।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১৯হাজার ১৫হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি দফতরের সংশ্লিষ্টরা।
বোরো কর্তন শেষে রোপা-আমন চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নামেন কৃষক ও শ্রমিকরা। বাড়ির আশপাশে বিস্তীর্ণ রোপা-আমন ফসলের মাঠ, সবুজে সমারোহ। কেউ ধান গাছের আগাছা পরিষ্কার করছেন। আবার কেউ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। সবুজ পাতায় বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন।
উপজেলার মাইজবাগ উইনিয়নের চরশংকর গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ কুদরত আলী জানান, বি আর ১১, ব্রি ধান ৩৪, ব্রি ধান ৪৯, ব্রি ধান ৫১, ব্রি ধান ৫২, ব্রি ধান ৭১, রঞ্জিত, বিশারি ও স্থানীয় জাত ধান রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ জমিতে ব্রি ধান ৪৯ ও ব্রি ধান ৭১ চাষ করা হয়। ধান গাছের চেহারায় তিনি মুগ্ধ। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কৃষি অফিসের পরামর্শে কীটনাশক প্রয়োগ ও আগাছা পরিষ্কারে ব্যস্ত রয়েছেন অন্যসব কৃষকের মতো তিনিও।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, আগাছা ধান গাছের পুষ্টি গ্রহণ করে গাছকে দুর্বল করে ফেলে এবং রোগ ও পোকার আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। এতে ফসলের উৎপাদন হ্রাস পায়। আগাছা জন্ম নেওয়ার সাথে সাথে হাত দিয়ে টেনে অথবা নিড়ানি দিয়ে পরিষ্কার করে দিতে হবে ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহ মজুমদার বলেন, এবার বীজ তলায় কোন প্রকার ঘাটতি নেই। প্রকৃতির নিয়মে অগ্রহায়ণ মাসে আমন কাটা শুরু হওয়ার কথা। অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আমন ধান কাটা মাড়া শেষ হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে কৃষক গোলায় উঠাবেন সোনার ফসল এমনটাই প্রত্যাশা করছেন তিনি।