আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
এক কৃষ্ণাঙ্গকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় নিউইয়র্কের রোসেস্টারে সাত পুলিশ কর্মকর্তাকে বৃহস্পতিবার বরখাস্ত করা হয়েছে। গত মার্চে তাদের আটক করা হয়েছিল। চলতি সপ্তাহে একটি ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের খবর প্রকাশ্যে চলে আসে।
এক কর্মকর্তার শরীরে বসানো ক্যামেরায় এ ভিডিও ধারণ করা হয়েছিল। তাতে দেখা গেছে, ড্যানিয়েল প্রুড নামের ওই কৃষ্ণাঙ্গের মাথায় একটি মেশ হুড পরাচ্ছে একদল পুলিশ কর্মকর্তা। এ সময় তিনি হাঁটু গেড়ে বসেছিলেন। তাকে রোসেস্টারের রাস্তায় যখন চেপে ধরা হয়েছিল, তখন তার ওপর তুষার পড়ছিল।
ড্যানিয়েল প্রুডের পরিবারের এক সদস্য বুধবার ভিডিওটি প্রকাশ করেন। তিনি হত্যায় জড়িত কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের দাবি জানান। রোসেস্টারের আটকের সাত দিন পর ২৩ মার্চ মারা যান ৪১ বছর বয়সী প্রুড।
কৃষ্ণাঙ্গদের হত্যা ও তাদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক চলা বিক্ষোভে নতুন ইন্ধন জুগিয়েছে প্রুডের এ ঘটনা। মানবাধিকারকর্মীরা বলেন, আফ্রিকান-আমেরিকানদের বিরুদ্ধে পুলিশি নৃশংসতা ও বর্ণবাদের মহামারী চলছে।
আগস্টে কেনোশায় পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ জেকব ব্লেক গুরুতর আহত হওয়ার পর উত্তেজনা ফের বাড়তে শুরু করে। শরীরের পেছনের অংশে সাতটি গুলি খাওয়া ব্লেক চিরতরে পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন কেনোশার ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়েরের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি মার্চে লুইসভিলের কেন্টাকিতে মাদকবিরোধী এক অভিযানে পুলিশের গুলিতে নিজের বাড়ির ভেতর নিহত আফ্রিকান-আমেরিকান নারী ব্রিয়োনা টেইলরের ঘটনায়ও দোষীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের দাবি তুলেছেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, আমার মনে হয় বিচার বিভাগকে তার মতো করে কাজ করতে দেয়া উচিত। অন্তত পুলিশের ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হওয়া প্রয়োজন।
বুধবার মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার বর্ণবাদের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের সঙ্গে ভিন্ন আচরণ করে এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার গুলির ঘটনা খুবই বিরল।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস