অনলাইন ডেস্কঃ
অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে দৈনিক পত্রিকাগুলোর অনলাইন ভার্সন অগ্রাধিকার পাবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সম্পাদক পরিষদের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
মতবিনিময়সভায় তথ্যসচিব কামরুন নাহারও উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদক পরিষদের পক্ষে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ডেইলি সান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান, বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি সভায় অংশ নেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দৈনিক পত্রিকার অনলাইন ভার্সনগুলোকে যাতে শিগগিরই রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয় আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। কারণ পত্রিকার ডিক্লারেশনের সময় এগুলোর তদন্ত হয়েছে। আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পত্রিকাগুলোর অনলাইন ভার্সনের রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করব।’
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিলের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কয়েক শ কোটি টাকার বিল বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তরে আটকে আছে। সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে, যাতে বিলগুলো তাড়াতাড়ি বিভিন্ন দপ্তর ছাড় করে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এই বিলগুলো দ্রুত দিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। এখন করোনাকালে পত্রপত্রিকায় নানা সংকট আছে। যেহেতু দিতেই হবে, সুতরাং এখন দিলে সেটি বেশি কাজে লাগবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, এর আগে সব মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে পত্রপত্রিকার বিল ছাড় করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তাগিদপত্র দেওয়া হয়েছিল। সেটার আলোকে তথ্য মন্ত্রণালয়ও একটি তাগিদপত্র দিয়েছিল, কিছু বিল ছাড়ও হয়েছিল। কিন্তু বকেয়ার তুলনায় ছাড়ের পরিমাণ নগণ্য হওয়ায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তরকে আবার একটি তাগিদপত্র দেওয়া হবে।
সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, করোনাকালে গণমাধ্যমের অগ্রযাত্রার জন্য সম্মিলিতভাবে সংকট নিরসনের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ‘দৈনিক পত্রিকাগুলোর অনলাইন ভার্সন দ্রুত নিবন্ধনের আওতায় আনা এবং সংবাদপত্রগুলোর বকেয়া বিল পরিশোধের বিষয়ে আমরা তথ্যমন্ত্রীর সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছি।’