Friday , 22 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে গোটা সমাজ বিষাক্ত হয়ে গেছে : রিজভী
--সংগৃহীত ছবি

আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে গোটা সমাজ বিষাক্ত হয়ে গেছে : রিজভী

অনলাইন ডেস্কঃ

আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম ৭১ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে গোটা সমাজ বিষাক্ত হয়ে গেছে। ছেলে মাকে জবাই করছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিজেরাই আইন মানছে না, যাকে ইচ্ছা ধরে নিয়ে গুলি করছে, নাটক সাজাচ্ছে। দেশ একটা অন্ধকার অরাজকতার মধ্যে ডুবে আছে। বিরোধী দলের ওপর নির্যাতন-অত্যাচার চালাচ্ছে, মানুষ হত্যা করছে, গুম করছে।

রিজভী বলেন, ১৫ আগস্ট এর সময় জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় কর্মকর্তা ছিলেন। কিন্তু ১৫ আগস্ট রাত পর্যন্ত যারা মন্ত্রী ছিলেন তারা গিয়ে শপথ নিলেন খন্দকার মোশতাকের কেবিনেটে। খন্দকার মোশতাকের ক্যাবিনেটের ২৩ জন মন্ত্রীর মধ্যে ২২ জন বাকশালের মন্ত্রী ছিলেন। মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাকশালের মন্ত্রিসভা ছিল সেই মন্ত্রিসভার মন্ত্রীরা মোস্তাকের কেবিনেটে শপথ নিলেন।  সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর তিনজন প্রধান খন্দকার মোশতাকের কাছে গিয়ে আনুগত্য করলেন। জিয়াউর রহমান তো জাননি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসে বাকশাল দুর্ভিক্ষ শুধু এগুলোই আছে। তাদের ইতিহাসে শুধু বিরোধী দলের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন, মানুষ হত্যা, বিচার বহির্ভূত হত্যা। সেটির জন্য বিএনপির প্রতি তাদের এত বিদ্বেষ। ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান এদেশের রাজনীতি ও প্রশাসনের ক্ষমতায় আবির্ভূত হন। তারপর আওয়ামী লীগ যত অপকর্ম করেছে সেখান থেকে শুভদিক যেটা সেখানে তিনি দেশকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। তারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছে।

জিয়া পরিবার বিএনপিকে তারা কিছুই মনে করে না তারা মনে করে যে বিএনপি নাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা যারা আছেন সমালোচনা করার সময় কিন্তু জিয়া পরিবার ও বিএনপিকে নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এ দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিল সত্তরের নির্বাচনে। যে কারণে সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিল জনগণ তার প্রত্যেকটার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে দলটি।

রিজভী বলেন, ৫ আসনে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের নেত্রী ২ আসনে পরাজিত হয়েছেন আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনেই নির্বাচিত হয়েছেন। এই যে ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা, এই যে বিপুল জনপ্রিয়তা এটা কখনোই শেখ হাসিনা পছন্দ করতে পারেননি।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র বিজয়ের আন্দোলনের যে চ্যাম্পিয়নশিপ বেগম খালেদা জিয়া অর্জন করেছে সেখানে একজন বিশ্বাসঘাতক হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং তার নেত্রী প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। দেশের জনগণের কাছে গিয়ে যে সকল অঙ্গীকার করেছেন তা রক্ষা করেছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর ভঙ্গ করেছেন আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বাসঘাতকতার তকমা তার।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিমসহ অনেকে।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply