স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের কেওয়াটখালি লোকোসেড থেকে শুরু করে রেলওয়ে স্টেশনের মেইন লাইনের সংযোগ পর্যন্ত ২ কিলোমিটার লাইনের কাজে পাথরের পরিবর্তে নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এর জন্য ময়মনসিংহ রেলওয়ের গাফিলতি আর দুর্নীতিকেই দায়ী করছেন অনেকে। বলা হচ্ছে পাথরের পরিবর্তে ইটের সুড়কি দিয়ে টাকা লোপাট করা হচ্ছে। রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, পাথরের জন্য কোনো বরাদ্দ না থাকায় ঝূকিপূর্ণ ওই অংশে আপদকালীন সময়ে ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে কোনো দুর্নীতি বা অর্থ লোপাট হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, লক্কড় ঝক্কড় লোকোসেডের লাইন। লাইনের বেশিরভাগ অংশই নিচু। সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে থাকে। এর ফলে কাঠের স্লিপারগুলো পচে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যূত হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ দুই কিলোমিটার অংশে ইটের সুড়কি বিছিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ইটের সুড়কি দিয়ে রেললাইন মেরামতের বিষয়টি দুঃখজনক। এটা কোনো যৌক্তিক কাজ হতে পারে না।এর আগেও কয়েকবার এই লাইনটিতে ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়েছে। মাঝখানে কয়েক বছর আগে একবার রেললাইনটি মেরামত করা হয়েছিল। তবে বর্তমানে পাথরের পরিবর্তে ইটের সুড়কি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে করে পরবর্তীতে আরও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ময়মনসিংহ রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হাসান বলেন, সরকারিভাবে পাথর কেনার কোনো বরাদ্দ নেই। টেন্ডারের মাধ্যমেপাথর কিনে নিয়ে আসতে অনেক সময়ের ব্যাপার। কিন্তু ওই জায়গাটি অনেক নিচু। দুই কিলোমিটার রেললাইনের সম্পূর্ণ অংশে কাঠের স্লিপার লাগানো। পানি জমে সেগুলো যেন পচে নষ্ট না হয় সেজন্য আপদকালীন সময়ে এই ব্যবস্থা করেছি। তিনি জানান, বরাদ্দ না থাকায় পাথরের পরিবর্তে অল্প টাকায় ইট দিয়ে মেরামত করার চেষ্টা করেছি।এই কাজে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই।