যশোর প্রতিনিধি : যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পিটিয়ে তিন কিশোরকে হত্যা ও অন্তত ১৫ জনকে আহতের ঘটনায় কেন্দ্র তত্ত্বাবধায়কসহ ৫জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক (সহকারী পরিচালক) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ, সাইকো সোস্যাল কাউন্সিলর মুশফিকুর রহমান, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর শাহানূর এবং ওমর ফারুককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এরআগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়েছিল।শুক্রবার (১৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার দিকে যশোর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ১০ জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে পাঁচজনের সংশ্লিষ্টতার সত্যতা মিলেছে। এজন্য ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।তবে গ্রেফতারের বিষয়টি আজ শনিবার সকালে ব্যাপকভাবে জানাজানি হয়।এর আগে, শুক্রবার কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত পারভেজ হাসান রাব্বির (১৮) বাবা খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা পশ্চিম সেনপাড়ার রোকা মিয়া। মামলায় শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করা হয়েছে। তবে আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।এদিকে এ ঘটনায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।গত ৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কিশোরদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ওই ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আনসার সদস্য ও তাদের নির্দেশে কয়েকজন কিশোর অন্তত ১৮ জনকে বেধড়ক মারপিট করে। মারপিট ও নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের ফেলে রাখা হয়। কয়েকজন অচেতন থাকায় তারা অজ্ঞান হয়ে গেছে মনে করলেও পরে তারা বুঝতে পারে এরা মারা গেছে। এরপর সন্ধ্যার পর এক এক করে তাদের লাশ হাসপাতালে এনে রাখা হয়।নিহতরা হলো-বগুড়ার শিবগঞ্জের তালিবপুর পূর্বপাড়ার নান্নু প্রামানিকের ছেলে নাঈম হোসেন (১৭), একই জেলার শেরপুর উপজেলার মহিপুর গ্রামের আলহাজ নুরুল ইসলাম নুরুর ছেলে রাসেল ওরফে সুজন (১৮) এবং খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা পশ্চিম সেনপাড়ার রোকা মিয়ার ছেলে পারভেজ হাসান রাব্বি (১৮)।নিহত রাব্বির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১১৮৫৩। আর রাসেল ও নাঈমের রেজিস্ট্রেশন নম্বর যথাক্রমে ৭৫২৪ ও ১১৯০৭। নাঈম হোসেন ধর্ষণ এবং রাব্বি হত্যা মামলার আসামি ছিল-এমনটিই জানানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি থেকে।