কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
যথাযোগ্য মর্যাদায় ১১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে।
শনিবার সকালে কুষ্টিয়া ডিসি কোর্ট সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়া একই এলাকায় অবস্থিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেক মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যেও এদিন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার খাইরুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ইতিহাসের আজকের দিনে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টায় যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে ১শ ৪৭ জন সেনাবাহিনী স্বশস্ত্র অবস্থায় কুষ্টিয়ায় এসে অবস্থান গ্রহণ করে এবং ওই রাতেই সারা শহরে সান্ধ্য আইনজারী করে। ২৬ মার্চ সান্ধ্যা আইন ভেঙ্গে ঘর থেকে খাবার কিনতে বেরিয়ে আসায় চারজন নিরিহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং ২৭ মার্চ সেনাবাহিনীর উপর হামলার চেষ্টাকালে একজন ছাত্র শহীদ হয়।
এ ঘটনার পর সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
পাাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে। সদর উপজেলার বংশীতলা, আড়পাড়া, ধলনগর, ব্যাঙগাড়ী ও ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০ টা থেকে পরদিন ভোর রাত পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এই ফাইটার বিমানের কাছে মুক্তিবাহিনী-মিত্রবাহিনীর যৌথ ভাবে পাকিস্তান বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এতে পাকিস্তানবাহিনীর ৩০ জন, মিত্রবাহিনীর ৭০ জন এবং মুক্তিবাহিনী ৭ জন নিহত হয়। তাদের অনেকের লাশ ফিরে পায়নি স্বজনেরা। এ যুদ্ধে পাকিস্তান বাহিনী পরাজিত হয়ে পিছু হটতে থাকে। অবশেষে ১১ ডিসেম্বর সকালে কুষ্টিয়া শত্রæমুক্ত হয়। এ উপলক্ষ্যে আজ সকাল থেকে দিনব্যাপী জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডসহ বিভিন্ন সংগঠন র্যালী, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসুচী পালন করেছেন।