ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে মো. সাত্তার মিয়ার (৫৬) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৯ বছর বয়সী মানুষিক ভারসাম্যহীন এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৫ জুলাই) দুপুরে ফুলবাড়িয়া সাত্তারের মদিমালের দোকানের পাশের একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজকে দুপুরের ৯ বছরের বয়সী ভিকটিম মজা কিনতে সাত্তারের দোকানে যায়। পরে সাত্তার চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিশুটিকে মদিমালের দোকানের পিছনের একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। ওই শিশুর চিতকার শুনে এলাকার যুবকরা এগিয়ে আসেন। তারপর সাত্তার মিয়া পালিয়ে যায়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের লোকেরা বিকেলে শিশুটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিভাগে নিয়ে ভর্তি করেন।
ভিকটিমের পিতা মানিক মিয়া জানান, এলাকার মৃত আব্দল রাজ্জাক মিয়ার দুই ছেলে সাত্তার মিয়া ও মুসলিম মিয়ার মদিমালের ব্যবসা করেন। চকলেটের লোভ দেখিয়ে প্রায়ই শিশুদের নিপীড়ন ও নির্যাতন করতেন। তারা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় এধরনের অনেক অভিযোগ আছে। এর আগে সাত্তার মিয়ার ভাই মুসলিম মিয়া একটি নারী নির্যাতন মামলায় ৬মাস কারাগারে ছিলেন। তাদের বাসাবাড়িতে বিভিন্ন জেলার অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষকে ভাড়া দিয়ে থাকেন। তাদের নির্যাতন করলেও তারা প্রতিবাদ করতে পারেন না। তাদের এসব পাপ কাজের জন্য এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। কেউ তাদেরকে ভাল বলেন না। তাদেরকে যদি দমন না করা যায়, তাহলে আমার ছেলে-মেয়েদের নিরাপত্তা দেওয়ার মত কেউ থাকবে না। তিনি সঠিক বিচারের দাবি করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গাইনী চিকিৎসক ডা. মাহফিদা আক্তার হ্যাপী জানান, মেয়েটিকে ধর্ষণ চেষ্টার কিছু আলামত পাওয়া গেছে। শরীরের স্পর্শকাতর বিভিন্ন যায়গায় তার ইনজুরি মার্ক আছে। শিশুটির ডাক্তারি পরিক্ষা-নিরিক্ষার জন্য ভ্যাজিনাল সোয়াব নেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ৯ বছরের একটি মেয়ে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পেয়েছি। গাইনী চিকিৎসকের সাথে কথা হয়েছে। শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত সাত্তারকে আটকের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত চলছে।