খুলনা প্রতিনিধি: দলের নগর সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ’৭৫ পরবর্তী দুঃসময়ে আ’লীগের কান্ডারি ছিলেন শেখ রাজিয়া নাসের। তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী দেশী-বিদেশী চক্র বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যার পরে শেখ নাসের পরিবারের সদস্যদেরকেও হত্যার ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়। তাদেরকে হত্যা করতে না পেরে সামাজিক ভাবে নানা ধরনের নির্যাতন চালানো হয়। অসহ্য নির্যাতনের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গোপালগঞ্জে চলে যান। সেখানেও নির্যাতন চালানো হয়। এরপর রাজিয়া নাসের সন্তানদের নিয়ে পাবনায় চলে যান। সেখানে থেকে শেখ হেলাল উদ্দিন ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করতেন। শেখ হেলালকে হত্যার উদ্দেশ্যে কলেজের প্রিন্সিপালকে চাপ সৃষ্টি করা হয়। সেখানে প্রিন্সিপাল কোন ভয়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি শেখ হেলালকে রক্ষা করেন। এত সব নির্যাতনকে শেখ রাজিয়া নাসের অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে মোকাবেলা করেছেন। পরবর্তীতে তিনি খুলনায় এসে আ’লীগকে অত্যন্ত সুকৌশলে নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সুসংগঠিত করেন। তিনি এভাবেই নিজের সংসার এবং দলকে রক্ষা করেছেন। তাঁর ত্যাগ আজ আমাদের এবং এ অঞ্চলকে সমৃদ্ধ করেছে। তাঁর এই ত্যাগকে সামনে নিয়ে সকলকে সংগঠন করতে হবে। তাহলেই জননেত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন হবে।
গতকাল মঙ্গলবার বাদ মাগরিব মহানগর আ’লীগ আয়োজিত শেখ রাজিয়া নাসেরের ১ম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বক্তৃতা করেন নগর আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান। নগর আ’লীগ দপ্তর সম্পাদক মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের এ সময় উপস্থিত ছিলেন আ’লীগ নেতা কাজী এনায়েত হোসেন, বেগ লিয়াকত আলী, মলিক আবিদ হোসেন কবীর, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, কাজী ইব্রাহীম মার্শাল, মহিউদ্দিন আহমেদ রাজু, তরুণ উদীয়মান আওয়ামী লীগ নেতা হিমন খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, মোঃ মিজানুর রহমান অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, মোঃ আশরাফুল ইসলাম, শেখ মোঃ ফারুক আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আলমগীর কবির, এড. খন্দকার মজিবর রহমান, শেখ মোঃ আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, শেখ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খান, কামরুল ইসলাম বাবলু, মোঃ মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, অধ্যাপক রুনু ইকবাল, তসলিম আহমেদ আশা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান হাফিজ, কাউন্সিলর আনিসুর রহমান বিশ্বাষ, এস এম আকিল উদ্দিন, বিএম জাফর, এড. সুলতানা রহমান শিল্পী, এড. একেএম শাহজাহান কচি, মোঃ মোতালেব মিয়া, রনজিত কুমার ঘোষ, মোঃ সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, মোঃ মোক্তার হোসেন, তোতা মিয়া ব্যাপারি, আলী আকবর মাতুব্বর, কাউন্সিলর আমেনা হালিম বেবী, শেখ আব্দুল আজিজ, বাদল সরদার বাবুল, মোঃ জাহিদুল হক, ফয়েজুল ইসলাম টিটো, এমরানুল হক বাবু, মোঃ শিহাব উদ্দিন, মীর মোঃ লিটন, মোঃ জাকির হোসেন, ওয়াহিদুল ইসলাম পলাশ, হাবিবুর রহমান দুলাল, মুন্সি নাহিদুজ্জামান, এস এম হাফিজুর রহমান হাফিজ, কাজী কামাল হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন, মোঃ শওকাত হোসেন, আব্দুল কাদের শেখ, রোজি ইসলাম নদী, জিলহজ্ব হাওলাদার, আফরোজা জেসমিন বিথী, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, কাউন্সিলর কনিকা সাহা, আলমগীর মলিক, মোঃ শহিদুল হাসান, আঞ্জুমানোয়ারা বেগম, জেসমিন সুলতানা শম্পা, সাবিহা ইসলাম আঙ্গুর, ইসরাত হীরা, শামীমা সানা, কৃষ্ণা দাশ, মমতাজ সুলতানা কবিতা, দিপ্তী বিশ্বাস, নাজমা হোসেন, সালমা জাহান মনি, জেরিন সুলতানা, ইয়াছির আরাফাত, সোহান হাসান শাওন, মাহমুদুল ইসলাম সুজন, মাহমুদুর রহমান রাজেস, এম এ হাসান সবুজ, ওমর কামাল রুম্মান আহমেদ সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। স্মরণ সভা শেষে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ খ ম জাকারিয়া ও মহানগর শ্রমিক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাফেজ আব্দুর রহীম খান। এর আগে দলীয় কার্যালয়ে কোরআন খানি অনুষ্ঠিত হয়।