কক্সবাজার প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা, সাগরপথে নিজ শহর কক্সবাজার যাওয়ার একমাত্র পথ কক্সবাজারের ৬ নং জেটিঘাট। এই জেটিতেই প্রতিজনকে যাওয়া আসায় গুনতে হয় ১০ টাকা। তবে মালামাল পারাপারে রয়েছে আলাদা হিসাব, বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে মুল্য তালিকা নির্ধারণ করা থাকলেও মানা হয়না বিন্দু পরিমাণও। তাতে আবার কারো প্রতিবাদ করার সুযোগ নেই। প্রতিবাদ করলেই টোল আদায় কারির পাশে ঘাটে বসে থাকা সংঘ বদ্ধরা ঝাপিয়ে পড়ে প্রতিবাদকারির উপর। শুরু করে শারীরিক মানসিক নির্যাতন,এভাবেই চলছে মাসের পর মাস। ইতিপূর্বে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আকস্মিক অভিযান চালিয়ে বহু বার শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে অভিযান বন্ধ থাকায় আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মহেশখালী উপজেলার বড়মহেশখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন তার ব্যবহারের পুরাতন একটি ফ্যানের জন্য তাকে ৫০ টাকা ফি দিতে হয়েছে। কালারমারছড়ার বাসিন্দা আব্দুল গনি জানান একটি ছাগল পারাপারের জন্য তাকে ২০০ টাকা টোল ফি দিতে হয়েছে। অথচ সরকারি নিয়মে লিখা আছে মাত্র ৫ টাকা। এভাবে একটি গরু পারাপারে ১০০০ টাকা টোল আদায় করে যা সরকারি নিয়মে ১০-২০ টাকা। মহেশখালী উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক ফরিদুল আলম দেওয়ান জানান, আমরা ইতিপূর্বে মানববন্ধন করেছিলাম ৬নং জেটি ঘাটে টোল ফির সরকারি মুল্য তালিকা টোল আদায়কারির পিছনে টাঙানোর জন্য, যাতে মানুষ হয়রানি থেকে বাঁচতে পারে। প্রশাসন আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছিলেন কিন্তু দেখি এই পর্যন্ত টোল আদায় কারিরা তারা তাদের পিছনে মুল্যতালিকা দেয় নাই। আমরা প্রয়োজনে মহেশখালীর সাধারণ জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আবারও মানববন্ধনসহ কঠিন আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।এই বিষয়ে ইজারাদারের পক্ষ হতে ঘাটে দায়িত্বে থাকা প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলতে চাইলে তাদের কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।