অনলাইন ডেস্ক:
দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৬০ পৌরসভার নির্বাচন আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওই দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩২টি পৌরসভায় ব্যালটে এবং ২৮টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে। ভোটগ্রহণের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ নির্বাচন নিয়ে এরই মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার পাশাপাশি শঙ্কাও সৃষ্টি হয়েছে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক কাউন্সিলর পদপ্রার্থীসহ দুজন নিহত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন বলছে, নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এই ধাপের নির্বাচনে আটটি রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব প্রতীক নিয়ে অংশ নিচ্ছে। তবে ভোটের আগেই তিন পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে ৬১টি পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার এক প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ভোট স্থগিত করেছে ইসি।
ইসি সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব ও জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্র ছাড়াও নির্বাচনী এলাকাগুলোতে বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। পাশাপাশি থাকছে মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্যরা।
দ্বিতীয় ধাপে মেয়র পদপ্রার্থী ২২১ জন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে দুই হাজার ৩২০ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর সংখ্যা ৭৪৫ জন। নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার রাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় ট্রাক ও পিকআপ চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
দেশের পৌরসভা রয়েছে মোট ৩২৯টি। গত ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপের ২৩টি পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচনের ভোট হয়। তৃতীয় ধাপের ৬৪ পৌরসভায় ভোট হবে ৩০ জানুয়ারি। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপে ৫৮টি পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।