বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেছেন, ‘মার্কিন নতুন নীতির প্রেক্ষিতে ৪টি কারণে বিএনপির রাজনীতি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন নীতির কারণে আওয়ামী লীগের কোনো অসুবিধা হবে না।’ চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ১০ নম্বর উত্তর গোহট ইউনিয়ন এবং ১২ নম্বর আশরাফপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ আয়োজিত উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, যে ৪টি কারণে বিএনপি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে সেই কারণগুলো হচ্ছে- এক, বিএনপি’র বিগত কয়েক বছরের রাজনীতির মূল লক্ষ্য ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন।
তারা বলে আসছে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছাড়া শেখ হাসিনার অধীনে তারা নির্বাচনে যাবে না। মার্কিন এই নীতির ফলে বিএনপি’র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিটি ভেস্তে গেল।
দুই, বিএনপি এতদিন বলে আসছিল, নির্বাচনের আগে এমন একটি স্যাংশন আসবে যার ফলে আওয়ামী লীগ সরকার লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে। এর ফলে বিএনপি তাদের সুবিধাজনক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনে ক্ষমতায় আসবে।
কোনো স্যাংশন আসলো না। বরং যেটি আসলো সেটি তাদের নির্বাচন প্রতিহত করার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিল।
তিন, বিএনপি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বলে আসছিল, বিএনপি নির্বাচনে না আসলে সে নির্বাচন আন্তর্জাতিক মহলে অংশগ্রহণমূলক না হওয়ার কারণে গ্রহণযোগ্য হবে না। মার্কিন এই নতুন নীতির ফলে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে বিএনপির এই দাবি ভেস্তে গেল।
চার, শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি, প্রয়োজনে যেকোনো মূল্যে নির্বাচন প্রতিরোধ করবে তারা- এটিই বিএনপির মূলনীতি। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন নতুন নীতি অনুযায়ী নির্বাচন প্রতিরোধ করা সবচেয়ে বড় অপরাধ। তাই শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন প্রতিহত করার বিএনপির সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে।
কচুয়া উপজেলার ১০ নম্বর উত্তর গোহট ইউনিয়ন এবং ১২ নম্বর আশরাফপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ আয়োজিত উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কচুয়া আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সভাপতি আইয়ুব আলী পাটোয়ারী, কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ, কচুয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাজমুল আলম স্বপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান হাতেম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর যুবলীগের সভাপতি মাহবুব আলম, ১০ নং উত্তর গোহট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেন, ১২ নং আশ্রাফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল মাওলা হেলাল, ৬ নং উত্তর কচুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতার হোসেন, ৪ নং পালাখাল মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিব মজুমদার জয়, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জোৎস্না আক্তার, ৯ নং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহসান হাবিব জুয়েল, ৪ নং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আহাদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক উমর ফারুক, ১২ নং আশ্রাফপুর ইউনিয়নে উঠান বৈঠক আয়োজনের সমন্বয়কারী আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুক শামীম, সেন্ট্রাল ওমেনস কলেজের প্রিন্সিপাল শফিকুল ইসলাম, পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল নজরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক সালাহউদ্দিন সরকার ও যুগ্ম আহ্বায়ক বৃন্দ, ১০নং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিজন সরকার, সহ-সভাপতি মো. শরিফ উল্লাহ, শ্রমিক লীগের আহবায়ক খোকন মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আখতার হোসেন রানা, আওয়ামী লীগ নেতা সোহাগ মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট শওকত তুহিন, ১২ নং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন সৈকত, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা এরশাদুর রহমান, জগতপুর বাজার ব্যাবসায়ী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস মিয়াজি প্রমুখ।