অনলাইন ডেস্ক:
পোশাক শ্রমিকদের ঢাকায় ফেরার চাপ সামলাতে সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে লঞ্চ চালুর পর আবারও তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আজ সোমবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
করোনা সংক্রমণ রোধে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধি-নিষেধ ঘোষণা করে সরকার। তবে রবিবার (১ আগস্ট) সব পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ায় কাজে যোগ দিতে শুক্রবার রাত থেকেই ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় যাত্রা শুরু করেন হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মচারী।
কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকা অভিমুখী মানুষের চাপ সামলাতে শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। কিন্তু এর পরও যাত্রীদের চাপ থাকায় তা সোমবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টা পর্যন্ত বহাল রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ৩৮ ঘণ্টা চালু থাকার পর নির্ধারিত সময়ে বন্ধ হয়ে যায় লঞ্চসহ নৌযান চলাচল। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে জানা গেছে। ফলে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত আর নৌযান চলছে না।
সোমবার রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দেখা যায়, ভোর ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে। ভোরে যাত্রীদের ভিড়ে পন্টুনে মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি। সেখানে মাস্ক ছাড়াই যাত্রীদের যাতায়াত করতে দেখা যায়। সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হতে দেখা যায় সেখানে। তবে সব যাত্রী নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যাওয়ায় সকাল ৭টার পর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল একেবারে জনশূন্য হয়ে পড়ে। টার্মিনালে সারি সারি লঞ্চ, কিন্তু কোনো যাত্রী নেই। নেই কোনো হাঁকডাক। এরপর সকাল ১০টায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, দেড় দিন লঞ্চ চলার পর সোমবার সকাল ১০টা থেকে ফের বন্ধ হয়ে গেছে নৌযান। গত দেড় দিনে আমরা আশানুরূপ যাত্রী পাইনি। সরকার ধাপে ধাপে অনুমিত দেওয়ায় এ সুবিধা কেউ নিতে পারেনি। আমাদের যদি শুক্রবার দিন একবারে বলে দিত যে রবিবার সকাল পর্যন্ত লঞ্চ চলবে, তাহলে আমরা প্রচার করে দিতে পারতাম। কিন্তু সেটা না হওয়ায় পাটুরিয়া-শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। আমরা আজ থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সরকারের নির্দেশমতো লঞ্চ বন্ধ রাখব।
করোনা সংক্রমণ রোধে গত কয়েক মাস ধরে দেশে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ চলছে। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আট দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধি-নিষেধ। এরপর আবার গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধি-নিষেধ দেয় সরকার। আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত বহাল থাকবে এই বিধি-নিষেধ।