অনলাইন ডেস্ক:
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৩০ জুন বঙ্গবন্ধু সরকারের ৭৮৬ কোটি টাকার প্রথম বাজেট ঘোষণা করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে গণপরিষদে উপস্থাপন করা ওই বাজেট ছিল দেশের ইতিহাসে প্রথম বাজেট।
এরই মধ্যে পূর্ণ হতে চলেছে স্বাধীনতার ৫০ বছর। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ৫০তম জাতীয় বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে সেই আওয়ামী লীগ সরকারই। এ নিয়ে টানা ১৩ বার আর মোট ২৩ বার বাজেট উত্থাপন করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাজেটের আকার ছাড়িয়েছে লাখ কোটি টাকার গণ্ডি। আর এবার বাজেটের আকার ছাড়িয়ে যাচ্ছে ৬ লাখ কোটি টাকা।
টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুন) টানা ১৩ বার দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরতে যাচ্ছে। ২০০৯ সালে মহাজোট ক্ষমতায় এলে ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো এক লাখ কোটি টাকা ছাড়ায় বাজেটের আকার। মাত্র ১৩ বছরের মাথায় এসে এবার সেই বাজেটের আকার ছাড়াচ্ছে ৬ লাখ কোটি টাকার গণ্ডি।
এর আগে নবম জাতীয় সংসদের শেষ বাজেট ২০১৩-১৪ অর্থবছরেই ২ লাখ ২২ হাজার কোটির টাকার বাজেট ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ সরকার।২০১৪ সালে টানা দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জন্য আড়াই লাখ কোটি টাকার ওপরে বাজেট প্রস্তাব করা হয়।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকার বাজেটে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়ায় ছিটমহলবাসীর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্লোগানে ৩ লাখ কোটি টাকার মাইলফলক ছুঁয়ে ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়া হয় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলটির গত মেয়াদের শেষ অর্থবছর ২০১৮-১৯ ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট। বলা হয় সমৃদ্ধ আগামীর পথ যাত্রায় বাংলাদেশ।
টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেওয়া বাজেট ছাড়িয়ে যায় ৫ লাখ কোটি টাকার গণ্ডি। অর্থমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের মতো বাজেট উত্থাপন করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। গত অর্থবছরে অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমায় ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেয় আওয়ামী লীগ সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্ত্রিসভার এক বিশেষ অধিবেশনে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করিয়ে নেওয়া হবে। সংসদ নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে সীমিতসংখ্যক মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। গতবারের মতো এবারও বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন হবে ভার্চুয়ালি। অর্থমন্ত্রী জুম অনলাইনের মাধ্যমে বাজেট সম্পর্কিত বক্তব্য তুলে ধরবেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন।