নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত ১৩নং রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ মডেল ইউনিয়ন হিসেবে রূপ নিচ্ছে তরুণ প্রথম বারের মত জনগণের রায়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ এর সুযোগ্য নেতৃত্বে। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের এলাকাটি সত্যিকারের মডেল ইউনিয়ন হিসেবে রূপ নিচ্ছে বলে এলাকাবাসী ও তথ্য সূত্র মতে জানা যায়।
তথ্যসূত্রে ও সরজমিনে রসুলপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ জন প্রতিনিধি হিসেবে ১ম বার জয় লাভ করার পর দলবল নির্বিশেষে সব দলের সমন্বয়ে এরাকার উন্নয়নের জন্য দিবরাত্রি পরিশ্রম করে কাজ করে যাচ্ছেন। এতে তিনি কে কোন দলের অথবা কে কার লোক তাহা আমলে না এনেই উন্নয়ন কার্যক্রম বিরোধ নিষ্পত্তি, ত্রাণ বন্টন বিভিন্ন প্রকল্পের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকার থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় গ্রামীন অর্থনৈতিক অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য যেখানেই আগে দরকার জরুরি ভিত্তিতে তাহা করার চেষ্টা করছেন কাবিখা, কাবিটা, টিআর, জিআর, এলজিএসপি, এলজিডি প্রকল্পগুলো দিয়ে কাজ করার দরুন বর্তমান রসুলপুর চিত্র অন্যরকম হতে শুরু করছে। ইতিমধ্যে ব্রিজ/কালভার্ট, পাকা রাস্তাকরণ, সিএনবি থেকে প্রাপ্ত রাস্তার উন্নয়ন কাজ সম্পূর্ণ করেন। এছাড়া বিধবা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ভাতা এলে সবার মাঝে বয়স প্রতিবন্ধী ও বিধবা জরুরি ভিত্তিতে যাহার প্রয়োজন তাকে দেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের কোন সদস্য দালাল অর্থ হাতিয়ে নিতে পারছে না। তাছাড়া জন্মনিবন্ধন রেজিস্টার, মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্টার, বিবাহ রেজিস্ট্রার উদ্যেক্তার মাধ্যমে সঠিকভাবে করা হচ্ছে। বর্তমান রসুলপুর ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুন্নিয়া/নুরানী মাদ্রাসা, এতিমখানা, উচ্চ বিদ্যালয়, নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দির, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ক্লিনিক ১টি, সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক ৩টি, ১টি ভূমি অফিস, ১টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ব্যাংক, এনজিওসহ সরকারি, বেসরকারি বহু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এনজিও, ব্যাংক কর্তব্যরত কর্মকর্তা, কর্মচারীরাও এই এলাকায় কাজ করতে পেরে নিজেদেরকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন। গ্রাম আদালতেও রয়েছে আমুল পরিবর্তন। অতীতে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে মামলা করলে তারিখের পর তারিখ হওয়া মানুষ গ্রাম আদালতের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছিল। কিন্তু বর্তমান ১ম ধাপে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদের সব ওয়ার্ডের সদস্য, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্যগণকে নিয়ে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি করার কারণে গ্রাম আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা যথেষ্ঠ পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যায়। এই জন্য রসুলপুর ইউনিয়নের জনগণ কোর্ট কাচারির থেকে ছোট খাটো বিবাদ মিমাংসার জন্য গ্রাম আদালতকে বেঁচে নিচ্ছেন। এই ইউনিয়নে অনেকগুলো ছোটখাটো মোড় থাকলেও ছোট-বড় কয়েকটি বাজার রয়েছে।
চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ এর সাথে তার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে কথা হলে তিনি বলেন আমি তৃণমূল থেকে উঠে আসা আওয়ামীলীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী মাত্র। বিএনপি, জামায়াত এর দূর্শাসনের সময় আমি অনেকগুলো হামলার স্বীকার হয়েছি। চেয়ারম্যান ছাড়াও গত ১০ বছর যাবত আমি এই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন দায়িত্বে অধিষ্টীত আছি। ভবিষ্যতে আওয়ামীলীগের যেকোনো কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করার জন্য আমি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি ও জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য রাজনৈতিক যেকোনো কর্মকান্ড দিয়ে এগিয়ে যাবো। এইবার ১ম দফা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। জনগণের চাওয়া পাওয়ার অনেক কিছু আছে। এছাড়া রাস্তা-ঘাট, পুল, কালবার্ট অনেকগুলো কাজ করতে এখনো বাকী। তাছাড়া এই এলাকা হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিধবা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডে স্বল্পতার দরুণ অনেক বিধবা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধীর মধ্যে যথাযথভাবে বিলি করা যাচ্ছে না। তাই উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে ভবিষ্যতে এই ইউনিয়নে এই সমস্ত প্রকল্পে অধিক বন্টন আনার জন্য আমি চেষ্টা করছি, বাকী আল্লাহ ইচ্ছা। এছাড়া আমার ইউনিয়নে আইন শৃঙ্খলা আগের চেয়েও অনেক ভালো। আইন শৃঙ্খলার বিষয়ে প্রশাসন থেকে আমি সর্বদায় সহযোগিতা পাচ্ছি। আমি চাই যতদিন চেয়ারম্যান হিসেবে এই এলাকায় আছি ততদিন পর্যন্ত দল, বল নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের সেবায় যেন নিজেকে সার্বক্ষনিক নিয়োজিত রাখতে পারি।