আওয়ামী লীগের ‘সংশোধিত’ একটি পক্ষকে সামনে রেখে দলটির রাজনৈতিক পুনর্বাসনে রাজি হতে সেনানিবাস থেকে চাপ দেওয়া হয়েছে— জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর এমন দাবির প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সেনাবাহিনী সদর দপ্তর। শনিবার নেত্র নিউজকে দেওয়া এক বিবৃতিতে সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকের কথা স্বীকার করে নেওয়া হলেও চাপ প্রয়োগের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
সেনা সদরের বিবৃতির বরাতে নেত্র নিউজ জানিয়েছে, সেনানিবাসে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে ১১ মার্চ আলোচিত বৈঠকটি হয়েছিল। তবে হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমকে বৈঠকে ‘ডেকে নিয়ে যাওয়া এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের বিষয় নিয়ে তাদের প্রস্তাব বা চাপ প্রয়োগ’ করা হয়নি।
এদিকে হাসনাত আবদুল্লাহর পোস্টের পর সেই শুক্রবার রাতেই জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সেখানে তাকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সেনানিবাসে তিনি যে বৈঠকটির কথা বলছেন, তা কি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে হয়েছিল কি না। কিন্তু এই বিষয়ে তিনি সরাসরি জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ ছাড়া কার উদ্যোগে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি তিনি। তবে নেত্র নিউজকে দেওয়া বিবৃতিতে সেনা সদর নিশ্চিত করে জানিয়েছে যে সেনাপ্রধানের সঙ্গেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল; তবে ওই বৈঠক ছাত্রনেতাদের আগ্রহেই হয়েছিল বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়।
সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ ইউনিটের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নেত্র নিউজকে জানিয়েছেন, ছাত্রনেতাদের আগ্রহ ও উদ্যোগেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল। তবে হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের এই বৈঠক তাদের ব্যক্তিগত আগ্রহে নাকি জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে পূর্বানোমোদিত ছিল, তা স্পষ্ট নয়।
এ বিষয়ে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সারজিস আলমের বক্তব্য চেয়েছে নেত্র নিউজ। তবে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের জবাব পাওয়া যায়নি। হাসনাত, সারজিস ও নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী — সবাই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী কিংবা সেনাপ্রধানের সঙ্গে দূরত্ব বা রেষারেষি নেই উল্লেখ করে বক্তব্য দিয়েছেন।