কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে দুই বন্ধু মিলে অপর বন্ধু ওয়ায়েজকে হত্যা করেন।পরিকল্পনা মতে বন্ধুর জানাজাতেও অংশ নেন খুনিরা। ১৩ বছরের ওয়ায়েজকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে আসা হয়।
ঘটনার চারদিন পর চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত এ হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব।খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার ভোররাতে হত্যার পরিকল্পনাকারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছেন কক্সবাজার র্যাব-১৫’র অধিনায়ক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের রামু মরিচ্যা বিজিবি চেকপোস্টের হাজির বাড়ি এলাকার একটি ব্রিজের নিচ থেকে ইজিবাইক চালক মোহাম্মদ ওয়ায়েজের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার শরীরে অন্তত ১৮টি ছুরিকাঘাতের চিহ্নের কথা জানায় পুলিশ। এ ঘটনার দুইদিন পর নিহতের বাবা মো. জাহাঙ্গীর আলম রামু থানায় হত্যা মামলা করেন।
গ্রেপ্তাররা হলো,ওয়ায়েজের বন্ধু নুরুল ইসলাম প্রকাশ গুরাইয়া, আবু হেনা ওরফে হানিফ এবং রোহিঙ্গা মোহাম্মদ হোসেন ও আরিফ হোসেন। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী গুরাইয়া। এ ছাড়াও হোসেন ও আরিফ আন্ত:জেলা ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের সদস্য।গুরাইয়ার বরাতে কক্সবাজার র্যাব-১৫’র সহকারী পরিচালক নিত্যনন্দ দাশ বলেন, ‘তার পরিকল্পনায় ওয়ায়েজকে ঘটনাস্থলে নেয়া হয়। পরে বন্ধু হানিফ তাকে পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে। আর গুরাইয়া তাকে উপর্যপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। পরে তাকে ফেলে ইজিবাইকটি নিয়ে পরিকল্পনামতো মোহাম্মদ হোসেন ও আরিফ পালিয়ে যান।’তিনি জানান, ‘গ্রেপ্তাররা চারজনই ইজিবাইক চালক। মরদেহ উদ্ধারের পর জানাজাতেও গিয়েছিলেন খুনিরা। ঘটনার পর পরই আমরা ছায়া তদন্ত শুরু করি।
এতে ধৃতদের সম্পৃক্ততার তথ্য মিলে।