ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা::
ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি কারনে এবং গ্রামে গঞ্জে মানুষের মধ্যে ঠান্ডা জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা যাওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার প্রধান হাতিয়ার অতি প্রয়োজনীয় ’প্যারাসিটামল’ ঔষধ সংকট দেখা দিয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদরের বিভিন্ন ফার্মেসীতে মিলছে না ’নাপা’ ট্যাবলেটসহ এই গ্রুপের অন্য কোম্পানীর ঔষধগুলো। ফার্মেসীতে প্যারাসিটামল ঔষধ না পেয়ে রোগী ও রোগীর স্বজনরা হতাশ হয়ে ফিরছেন বাড়িতে।
ঠাকুরগাঁওয়ে শহরের কালীবাড়ী মোড়ে নাপা সিরাপ নিতে এসেছেন সম্রাট ইসলাম তিনি জানান, তার চার বছরের ভাতিজি জ্বরে আক্রান্ত। এখানে নাপা সিরাপ পেলাম না। ফার্মেসি দোকানের ফার্মাসিস্ট বলেন
কোম্পানীর পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় এবং এক যোগে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সাময়িক এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে ফার্মেসী মালিকদের দাবী। তবে অনেক অসাধু ঔষধ ব্যবসায়ী এটা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশি দামে বিক্রি করছেন বলেও অভিযোগ ভোক্তাদের।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, সারা দেশের ন্যায় ঠাকুরগাঁও সদরে করোনা পরিস্থিতির অবণতি হওয়ায় এবং ভাইরাস জনিত ঠান্ডা, কাশি, জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ফার্মেসীগুলোতে সংকট দেখা দিয়েছে। কিছু ফার্মেসীতে এই ঔষধ পাওয়া গেলেও দ্বিগুন দাম নিচ্ছেন এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
ফার্মেসী মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শহর ও উপজেলাব্যাপী মানুষের মধ্যে ঠান্ডা, জ্বর, কাশির প্রকোপ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ফার্মেসীতে চাহিদার তুলনায় কোম্পানীগুলো সরবরাহ করতে পারছে না। বিশেষ করে নাপা ট্যাবলেট/সিরাপ ও এইচ ট্যাবলেট/সিরাপ এর চাহিদা অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় কয়েকগুন বেড়ে গেছে। গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এই গ্রুপের ঔষধ প্রথম সারির প্রায় সকল কোম্পানী সরবরাহ করছে না। ফলে এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তবে কোন ফার্মেসি মালিকরা এই অল্প দামের ঔষধ স্টক করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছেন না বলে তাদের দাবী। আর যদি কোন অসাধু ফার্মেসী মালিক নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করে তবে প্রশাসনকে বিষয়টি জানানোর জন্য বলেন তারা।
ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ির মোড়ে মেডিসিন মার্ট ফার্মেসির ম্যানেজার জানান, নাপা ও এইস ট্যাবলেট পাঁচ বক্স অর্ডার করলে সর্বোচ্চ এক বক্স পাই। এই সংকট দীর্ঘদিন থেকে চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নির্ধারিত দামের চেয়ে অর্থাৎ এমআরপি’র বাইরে ঔষধ বিক্রি করা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে ঔষধের দোকানগুলোতে গোপনে তদারকি করবো। কোন ফার্মেসীতে এই ঔষধগুলো বেশি দামে বিক্রির প্রমাণ পেলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।