মুজিবুর রহমান: আজ দৈনিক সকালবেলা এবং The Daily Morning Times এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক সৈয়দ এনামুল হক’র প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০২০ সালের এই দিনে তিনি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমাদের সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। এই চলে যাওয়ার পর আজ একটি বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু মনে হচ্ছে, এই তো সেদিন স্যারের সাথে কথা হল, স্যার আমাদের ডেকে উপদেশ দিলেন, সংবাদ সংক্রান্ত কত কথা বললেন। সেসব কথা আজ স্মৃতি হয়ে হৃদয়ে গেঁথে আছে। একটা চির সত্য কথা যে, এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে একদিন সবাইকে চলে যেতে হবে। স্যার আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছেন। আর আমাদের মাঝে কখনোই ফিরে আসবেন না। কিন্তু তার কর্মময় জীবনে যতটুকু আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন তা আমাদেরকে উৎসাহ ও প্রেরণা জোগাবে চিরকাল। স্মৃতির পাতায় আজ সেসব কথা মনে পড়ে।
স্যার সৈয়দ এনামুল হক ছিলেন সাংবাদিক গড়ার সুদক্ষ একজন কারিগর। স্যারের হাত দিয়ে অনেক সাংবাদিক তৈরী হয়েছে। সেসব সাংবাদিক আজ বিভিন্ন নামী দামি পত্রিকায় কাজ করছেন। অনেকে হয়েছে সম্পাদক। স্যারের স্বহস্তে গড়া দৈনিক সকালবেলা’র বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ের প্রতিটি স্থানেই রয়েছে তাঁর হাতের স্পর্শ, পদচিহ্ন। কিভাবে সংবাদ লিখতে হয়, তা তিনি হাতে-কলমে শিখিয়ে দিয়েছেন। বলতেন, যেকোন সংবাদের শিরোনাম এবং ভূমিকাটাই হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দুইটা বিষয় হচ্ছে সংবাদের ভিত্তি। এটা যদি আকর্ষণীয় না হয়, তাহলে মানুষ তোমার লিখিত সংবাদ পড়া তো দুরের কথা, ছুঁয়েও দেখবে না। আজ স্যারের সেসব উপদেশমূলক বাণীর কথা মনে হলে নির্বাক হয়ে যাই। স্যার সৈয়দ এনামুল হক ছিলেন সততার একজন সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ। সময়ানুবর্তিতা ছিলো তাঁর চরিত্রের প্রধানতম বৈশিষ্ট্য। অন্যায়ের বিপক্ষে তিনি ছিলেন সাহসী, নির্ভীক,আপোসহীন একজন কলমযোদ্ধা। হলুদ সাংবাদিকতাকে মনে-প্রাণে ঘৃণা করতেন তিনি। একটি বছর আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। হারিয়ে গেছেন কিংবদন্তিতুল্য ্একজন সম্পাদক। আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি আমাদের সবার প্রিয় স্যারকে, যিনি ছিলেন আমাদের উৎসাহ-অনুপ্রেরণার একমাত্র বাতিঘর। মহান আল্লাহপাক স্যারকে জান্নাতবাসী করুন-আমিন।