স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। আমরা এ লক্ষ্যে কাজ করছি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রবিবার দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় পুলিশ প্রশাসনের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস মোকাবেলায় সাহসী ভূমিকা রাখছে পুলিশ। দক্ষ ও বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে গড়ে তুলতে হবে পুলিশ বাহিনীকে। নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা কাজ করে গেছে আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।’
তিনি বলেন, ‘২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্ট সেবা, স্মার্ট শহর, স্মার্ট শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। সেখানে বাংলাদেশ পুলিশকেও স্মার্ট পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য সরকার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে।’
এর আগে সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে সারদায় পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রবেশ করেন সরকারপ্রধান। এরপর তিনি ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের শিক্ষানবিস সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
এ অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে রাজশাহী মাদরাসা মাঠে রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত জনসভায় অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে আমের রাজধানী রাজশাহী উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে সুন্দর এ নগরীকে। ব্যানার-ফেস্টুন-তোরণে ছেয়ে গেছে গোটা শহর। শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, পার্ক, স্থাপনা, ভবন, দপ্তরগুলোকে সাজানো হয়েছে বিশেষ সাজে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি মেগাপ্রকল্পসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুনে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে পরিচিত রাজশাহীকে করা হয়েছে আরো ঝকঝকে। মাদরাসা ময়দানে আওয়ামী লীগের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতীক নৌকার আদলে প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে গোটা নগরীতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পোশাকধারী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে নিরাপত্তার কাজ করছেন বিপুলসংখ্যক সদস্য।