কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
পদ্মা নদীর পানি কম থাকায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর পূনরায় স্বল্প মাত্রায় চালু হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে)।পাম্প হাউসের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ভ্যান অ্যাঙ্গেলে ০ থেকে ধীরে ধীরে বাড়িয়ে ১০ শতাংশে দিয়ে পানি সরবরাহ করা হয়েছে।তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত পদ্মার পানি কিছুটা বাড়ায় ৪ দশমিক ২ মিটার আরএল (রিডিউসড লেভেল) পানি পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া ইনটেক চ্যানেলে ভ্যান অ্যাঙ্গেলে এখন পর্যন্ত ১০ শতাংশ দিয়ে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। যার ফলে ডিসচার্জ চ্যানেলের পানি সরবরাহ ১২.২৫ থেকে বেড়ে ১৩.২৫ মিটার আরএল হয়েছে। তবে ইচ্ছা করলে ১৪.৫ মিটার আরএল হলে পূর্ণমাত্রায় সেচ সরবরাহ করা যায়। আগামীতে পদ্মায় পানি বাড়ার সাথে সাথে ভ্যান অ্যাঙ্গেল বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।পদ্মা নদীর পানি একেবারে কমে যাওয়ায় পাম্প মেশিনের কয়েল ও বিয়ারিং-এর তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে, শব্দ হচ্ছে ও ঝাঁকুনি দিচ্ছে। যার কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পাম্প দুটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে জানান প্রকৌশলী মিজানুর।কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস সীমিত আকারে পাম্প চালু হওয়ার খবরে আনন্দিত হয়ে বলেন, ধানের জন্য পানি এখন খুবই প্রয়োজন। প্রয়োজনমতো পানির সরবরাহ করতে পারলে কৃষকরাও ভালো করে ফসল উৎপাদন করতে পারবেন।জিকে সেচ প্রকল্পের আওতায় বোরো মৌসুমে এবার কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলায় ১৯৪ কিলোমিটার প্রধান খালের মাধ্যমে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচসুবিধা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।পদ্মা নদীতে পানি একেবারে কম থাকায় গত ২৬ মার্চ থেকে পাম্প বন্ধ রাখা হয়েছিল। যার ফলে চার জেলার কৃষকদের পানি সরবরাহ বন্ধ হলে চরম বিপাকে পরে তারা। পানি সরবরাহ না পেয়ে চার জেলার কৃষকরা বাধ্য হয়ে অনেকেই শ্যালো পাম্প দিয়ে পানি তুলে সেচ দেন। তবে জিকে প্রকল্পের পানির সরবরাহ যেসব এলাকায় আছে, সেই সব এলাকার কৃষকরা এই পানির ওপর ভরসা করেই বোরো ধান, পেঁয়াজ ও ভুট্টা চাষ করেন। হঠাৎ পানি বন্ধ হওয়ায় তাদের চাষাবাদ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।