দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সরকারের সিদ্ধান্তে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় সেনাবাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। সেনাবাহিনী কতদিন মোতায়েন থাকা প্রয়োজন এ বিষয়ে সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে সেনাসদর।
‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় সারা দেশে মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে বুধবার (১৩ নভেম্বর) সেনানিবাসের বনানী রেল ক্রসিং সংলগ্ন স্টাফ রোডের মেসে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের স্টাফ কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান এ কথা জানান।
ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, এই মুহূর্তে দেশের ৬২টি জেলায় সেনাসদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকার, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন সংস্থা, গণমাধ্যম ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২৯৫ জনকে দেশের বিভিন্ন সিএমএইচে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪৩ জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন বা বিচারবহির্ভূত হত্যা প্রতিরোধের ব্যাপারে সেনাবাহিনী অত্যন্ত সচেতন। এটার ব্যাপারে তাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দিষ্ট আদেশ রয়েছে, যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী যেন বিচারবহির্ভূত হত্যা সংঘটিত হতে না দেয়।