সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের চাতল বিল ও খাসিয়াখালী জলমহালে বাঁশ-কাটা লাগাতে দুষ্কৃতিকারীদের বাঁধা প্রদান এবং ইজারাদারের বিরুদ্ধে পতিত জমি জবর দখলের অভিযোগ। সম্প্রতি রঙ্গারচর ইউনিয়নের চাতল বিল খাসিয়াখালী জলমহালের ইজারাদার চাতলপাড়া চানপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা দখলের বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভীনের কাছে একটি মিথ্যা লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় দুষ্কৃতিকারী সাদক আলী, তাজুদ আলী, আশরাফ আলী, আলতাব আলী, ইছকন্দর আলী।
বুধবার বিকেলে সরেজমিন গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে মিথ্যা লিখিত অভিযোগে দুষ্কৃতিকারীরা উল্লেখ করেছেন, অভিযোগকারীরা সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের ‘চাতল বিল খাসিয়াখালী জলমহাল’ সংলগ্ন তীরবর্তী জমির মালিক । গত ২ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখে ৪.২৭ একর আয়তন বিশিষ্ট জলমহালটি ১৪৩০ থেকে ১৪৩২ বাংলা সনের জন্য ‘চাতলপাড়-চানপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ’ এর অনুকূলে বার্ষিক ৮০৪০ টাকা ইজারামূল্য নির্ধারণ করে ইজারা প্রদান করা হয়। এদিকে সদর উপজেলা ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মো. নূর আলী ইজারাপ্রাপ্ত সমিতির অন্তর্বতী ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আঙ্গুর মিয়ার নিকট দখল হস্তান্তর করেন। ইজারাদার সরেজমিন দখল পাওয়ার পর চাতল বিল জলমহালে বাশ-কাটা লাগাতে গিয়ে দুষ্কৃতিকারীদের বাঁধার মুখে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
স্থানীয় কৃষক তাহের মিয়া বলেন, দুষ্কৃতিকারীরা ইজারাদারের নিকট আর্থিক মুনাফা চেয়ে ব্যর্থ হয়ে স্থানীয় প্রশাসনে জমি দখলের অভিযোগ করে ইজারাদারকে হয়রানি করা সহ চাতল বিল জলমহালে বাঁশ-কাঁটা লাগাতে হুমকি দিচ্ছেন।
প্রকৃতপক্ষে রঙ্গারচর মৌজার সাবেক ১৮ দাগে ১.৬৭ একর ও ৩৪ নং দাগে ২.৬০ একর ভূমি মৎস্যজীবী সমিতিকে ইজারা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো নুর আলী।
চানপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি ও ইজারাদার কালা মিয়া বলেন, আমি চাতল বিল খাসিয়াখালী জলমহালের বার্ষিক ইজারামূল্য (খাজনা) পরিশোধ করে বিলে বাঁশ-কাটা লাগাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু দুষ্কৃতিকারীরা বাঁধা প্রদান করে আমাকে হুমকি দিচ্ছে জলমহালে না যাওয়ার জন্য। জমি জবর দখলের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, আমার জলমহাল সংলগ্ন পতিত জমিতে বর্তমানে প্রায় ১৫/২০ হাত পানি রয়েছে। তাই আমি সরকার বাহাদুরের আশুদৃষ্টি কামনা করছি। সদর উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা সালমা পারভীন বলেন, আমি অফিসে গিয়ে অভিযোগ দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।