সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নে গরু চুরির হিড়িক বেড়েছে। কৃষকরা তাদের গৃহপাালিত গরু রক্ষায় রাত জেগে পাহারা দিয়েও চুরি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। ফলে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিউর রহিম জাদিদ ও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইকবাল হোসেনের নির্দেশে ধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মো. মিলন মিয়া ও থানার এস আই শংকর চন্দ্র দেবের নেতৃতে পুলিশ সদস্যরা ইউনিয়নের পূর্ব মেরুয়াখলা ও দুধপুর এই দুটি গ্রামে রাতে চিরুনী অভিযান চালিয়ে চোরের বাড়িতে তিনটি চোরাই গরুর গো-ডাউন থেকে ১০টি চুরি যাওয়া গরু উদ্ধার করে জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কৃষকদের গরু কৃষকদের মাঝে ফিরিয়ে দেন। এ ছাড়া গত এক মাসে মোট চুরি যাওয়া ২১ টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে পূর্ব মেরুয়াখলা গ্রামের ধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিলন মিয়া ও বিশ্বম্ভরপুর থানার বিট অফিসার থানার এস আই শংকর চন্দ্র দেবের উপস্থিতিতে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নাজমা বেগমের বাড়ির সামনে এই গরুগুলো কৃষকদের হাতে তুলে দেন তারা । এ সময় ধনপুর ইউপি সদস্য হেনু মিয়া,স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন ও দ্বীন ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিলন মিয়া বলেন, পূর্ব মেরুয়াখলা ও দুধপুর গ্রামের চোরের সর্দার মো. আব্দুল আজিজ ও নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি সক্রিয় চোরচক্র প্রতিদিন রাতের আধাঁরে কৃষকদের বাড়িতে হানা দিয়ে গরু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় কৃষকদের মনে আতংঙ্ক থাকায় আমি বিষয়টি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জকে জানানোর পর উনাদের নির্দেশে থানার এস আই শংকর চন্দ্র দেবের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে চিরুনী অভিযানে নেমে ইতিমধ্যে ২১টি চুরি যাওয়া গরু এই দুটি গ্রামের চোরদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে,এবং দুইজন চোরকে পুলিশ আটক করে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান মো. মিলন মিয়া বলেন, আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সুষম উন্নয়ন হচ্ছে। এই উন্নয়নে আমার ধনপুর ইউনিয়নের মানুষ ও উপকৃত হচ্ছে। কাজেই আমি নেত্রীর একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে জনপ্রতিনিধির দায়িত্বে থাকা অবস্থায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ইউনিয়নবাসীর সামনে উপস্থাপন করতে চাই। আমি যতদিন এই ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি হিসেবে থাকব কোন গডফাদারের নেৃতত্বে সমাজের নতুন প্রজন্মের ছেলেদের নষ্ট করতে দেয়া যাবে না। তাই কোন ধরনের চুরি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা সহ নানান অপকর্ম যে কোন মূল্যে প্রতিহত করার ঘোষনা দেন তিনি।
এ ব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুর থানার এস আই শংকর চন্দ্র দেব বলেছেন,আমরা পুলিশ সদস্যরা জনগনের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে কাজ করি। কৃষকদের এই গৃহপালিত পশু রাতের আধারে যে কেহ চুরি করে নিয়ে যাবে সেটা হতে পারে না। এই চোরের গডফাদার যারাই আছেন ইতোমধ্যে ২১টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে এবং চোরচক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। চোরচক্রের সদস্যরা এখন এলাকা ছাড়া। তিনি পুলিশী অভিযান অব্যাহত রাখার দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।