প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সহিংসতার ঘটনা ঘটার আগেই তা বন্ধ করার জন্য। সহিংসতার ঘটনা ঘটার পরে তারা বলবেন খতিয়ে দেখছি, অনুসন্ধান করছি, গ্রেপ্তার করা হয়েছে এমনটা চলবে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে কোনো সহিংসতার ঘোষণা করতে দেওয়া যাবে না।
আজ শনিবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাথে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় করে তাদের বলা হয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালানোর জন্য। প্রত্যেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যাতে তাদের পোলিং এজেন্ট দেন সে বিষয়ে তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরাও নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।’
একই সাথে কোনো প্রার্থী বা তাদের সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে যাতে অনাচার সৃষ্টি না করতে পারে সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা ভোট পাল্টাতে পারে না। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ফল ঘোষণা হয়। প্রার্থীরা ঘরে বসেই জানতে পারেন ফলাফল। সিস্টেমের ওপর আস্থা রাখতে হবে। নানা কারণে এবার ভোট নিয়ে বিতর্ক হয়েছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি জামিল হাসান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির।