ঢাকায় নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে অস্থায়ী কন্ট্রোল রুমে সকাল ৮টা থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে প্রথম বারের মতো একসঙ্গে দুই সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও সিসি টিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন। আজ সোমবার সকাল থেকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতানা ও নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।
খুলনা সিটি করপোরেশনে মোট ৩১টি ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২৮৯টি।
বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় ভোটার দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন। মেয়র পদে সাতজন, ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১৮ জন ও সংরক্ষিত ১০ নারী কাউন্সিলর পদে ৪২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র পদে যে সাতজন লড়ছেন তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস, জাকের পার্টির মো. মিজানুর রহমান বাচ্চু এবং স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী হলেন কামরুল আহসান রুপন, আলী হোসেন হাওলাদার ও মো. আসাদুজ্জামান।
এদিকে, খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দলীয় প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক, জাতীয় পার্টির মো. শফিকুল ইসলাম মধু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আ. আউয়াল ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন এস এম শফিকুর রহমান।
বিএনপি ও জামায়াত সমর্থক হিসেবে পরিচিত ১০ জন প্রার্থীও কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর। এ সিটির মোট ভোটার পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার দুই লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ এবং পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন। ভোটকেন্দ্র ২৮৯টি এবং ভোটকক্ষ এক হাজার ৭৩২টি।