সিলেট ব্যুরো চীফ: বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কুমারগাঁও গ্রিড সাব স্টেশনের বাস বার মেরামত সম্পন্ন হয়েছে।
সিলেট মহানগরী এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য ‘টেস্ট রান’ সফল ভাবে সম্পন্ন করে পিডিবি কর্তৃপক্ষ।
পরে বিকেল সাড়ে ৬ ঘটিকায় ডিভিশন ১ ও ২-এ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন জানান, প্রাথমিক ভাবে বিদু্তের লোড কম থাকবে। তাই একই সাথে ফ্রিজ, মটরসহ ভারি ইলেকট্রনিক সামগ্রী চালু না করার আহবান জানান।
এর আগে আজ দুপুর ২টার দিকে গাজীপুর থেকে নতুন পাওয়ার ট্রান্সফরমার আনা হয়েছে।
এদিকে বিকেলে ঢাকা থেকে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হরমত উল্লাহ দস্তগীর ও পিডিবি বোর্ডের একজন সদস্য সহ প্রতিনিধি দল কুমার গাও বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য: গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে কুমারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড ১৩২/৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সরবরাহ উপ কেন্দ্রের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর ৭টি ইউনিট একঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে দুপুরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর পর থেকেই সিলেট শহর সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল।
পল্লী বিদ্যুতের জিএম হাসনাত হোসেন জানান পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন সিলেটের আটটি উপজেলায় গতকাল বিকেলেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।
এদিকে কুমারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড ১৩২/৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সরবরাহ উপ কেন্দ্রের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের কারণ নিরূপণে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও বিতরণ বিভাগ- ২ এর নির্বাহী প্রকৌশলীকে আহ্বায়ক করে এ তদন্ত কমটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে নির্বাহী পরিচালক (ওএন্ডএম) পিজিসিবি বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের উপ-মহাব্যবস্থাপক (এইচআরএম) রূপক মোহাম্মদ নাসরুল্লাহ্ জায়েদী স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জানা যায়, গ্রিডে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ২০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন উপ-কেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরা। আগুনে প্রায় ৭০ কোটি টাকার ২৫/৪১ এমবিএ দুটি ট্রান্সফরমার পুড়ে গেছে। ট্রান্সফরমারগুলোর বাইরের অংশ পুড়লেও ভেতরে কোনো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া ৩৩ কেভি ফিডার ও বার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষাধিক গ্রাহক দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।