সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে জমি দখলের পায়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম শিয়ালদী গ্রামের মৃত হাসেম হাওলাদারের চার ছেলে আবুল হাওলাদার (৫২) রফিকুল হাওলাদার (৩৯), বাবুল হাওলাদার (৫৪), শহিদুল হাওলাদার (৪২) ও বাবুল হাওলাদারের ছেলে অনিক হাওলাদারের (২২) বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলেন, হাওলাদার পরিবারের বড় ভাগিনা বাহেরকুচি গ্রামের নাছির উদ্দিনের ছেলে মো.নাহিদুজ্জামান (২৫)। এ বিষয় গতকাল সোমবার ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ করে প্রতিকার চেয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন। ভুক্তভোগীদের পক্ষে নাহিদুজ্জামান বলেন, আমার এক মামা আমেরিকান প্রবাসী শফিকুল ইসলাম হাওলাদার তার ভাই দেলোয়ার হোসেন হাওলাদারের কাছ থেকে পিতার ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত অংশ থেকে মোট ৪ টি দাগে ৪ শতাংশ ২৪ পয়েন্ট জমি কিনে। যে মামা সম্পত্তি কিনেছে সে বর্তমানে আমেরিকায় থাকেন। শফিকুল ইসলাম হাওলাদার যে চারটি দাগে তার ভাইয়ের কাছ থেকে জমি কিনেছে সে দাগে আমার মা বিউটি নাসিরসহ তার সাত ভাই সকলেই পিতার ওয়ারিশ সূত্রে ওই সম্পত্তির মালিক। তবে এখনো ওই সম্পত্তির কোন ভাগ বাটোয়ারা করা হয় নাই এবং কাউকে জায়গা বুঝিয়েও দেওয়া হয় নাই। আমেরিকান প্রবাসী মামার প্রাপ্ত ওয়ারিশসহ ভাইয়ের কাছ থেকে কেনা সম্পত্তি এবং আমার মায়ের ওয়ারিশের সম্পত্তি দখলের জন্য আমার চার মামা এবং এক মামাত ভাই রাতের বেলায় ভেকু বসিয়ে কেটে ভরাটের মাধ্যমে দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। আমারিকায় যে মামা থাকেন সেও এ বিষয়ে মৌখিক ভাবে চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে মোবাইল ফোনে অভিযোগ করেছেন। আমরাও প্রতিকার চেয়ে চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। আমরা এর সুষ্ঠ সমাধান চাই। এ বিষয়ে ইছাপুরা ৭ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এখন রোজার সময়, চেয়ারম্যান সাহেব একটু ব্যস্ত। ঈদের দু’একদিন পর আমরা বসে এটার আইনগত একটা সমাধাণ করে দিবো। ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রাম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন হাওলাদার বলেন, শফিক হাওলাদার এবং তার ভাইদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা চলছে এবং আমি কয়েকবার সমাধাণ করে দিয়েছি। দুতিনদিন আগে আমেরিকা থেকে শফিক হাওলাদার আমার কাছে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছে তার ভাই রফিকুল হাওলাদার ও তার শালা সমন্ধিসহ অন্যান্য ভাইদের নিয়ে ভেকু দিয়ে বসিয়ে সম্পত্তি দখল করার পায়তারা করছে। এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সরকারী বিধান অনুযায়ী গ্রাম্য আদালতের আয়ত্বে যত ধরনের প্রক্রিয়া আছে সেটা আমি প্রয়োগ করবো। আমার ইউনিয়নে রাতের আধারে জমি দখলের পায়তারার বিষয়টা দুঃখ জনক। যদি শফিক আমার কাছে লিখিত ভাবে বিচার চায় তাহলে আইন অনুযায়ী যেটা হয় সেটা আমি করবো।