Sunday , 24 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
সারা দেশে ৩২ হাজার ৪০৮টি দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে
--সংগৃহীত ছবি

সারা দেশে ৩২ হাজার ৪০৮টি দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে

অনলাইন ডেস্ক:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগের ঘোষিত ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ও সংখ্যালঘু আইন প্রণয়নসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। পরিষদের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সাম্প্রদায়িকতার অবসানে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ সকল সম্প্রদায়ের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয়েছে।

আজ শুক্রবার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বছর সারা দেশে দুর্গাপূজার সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ১৬৮। এবার এখন পর্যন্ত এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৪০৮। ঢাকা মহানগরে পূজার সংখ্যা ২৪৫, গত বছর ছিল ২৪২। বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসার পর প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে পূজোর সংখ্যা বেড়েছে।

আরো বলা হয়, ঈদ, পূজা, বড়দিন, বৃক্ষ পূর্ণিমা প্রত্যেক সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। সকল ধর্মীয় সম্প্রদায় তাঁদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা দিয়ে সারিকভাবে উদযাপন করে থাকে। পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোর উৎসবে সকল সম্প্রদায় মিলেমিশে একাকার হয়ে সার্বজনীনভাবে উদযাপন করবে- এটাই হচ্ছে বাঙালির শাশ্বত চিরায়ত নীতি ও ঐতিহ্য। আমরা এমন একটি সমাজের অপেক্ষায় আছি, যে সমাজে ঈদ-পূজা-বড়শি বুদ্ধ পূর্ণিমাসহ অন্যান্য ধর্মীয় ও সার্বজনীন সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো নির্বিঘ্নে, অসাম্প্রদায়িক পরিবেশে, কোন ধরনের ভয়ভীতি এবং পুলিশি পাহারা বাতিরেকে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবেশের জন্যই বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটিয়েছিলেন। এই পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলেই বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নের সোনার বাংলা সত্যিকারভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আদ্যাশক্তি মহামায়া দেবী দুর্গা নানারূপে আবির্ভূত হয়ে আসুরিক শক্তিকে পরাভূত করে ত্রিভূবন রক্ষা করেন। কিন্তু অশুভশক্তি আজও সর্বত্র বিরাজমান। এরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপে আবির্ভূত হয়। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীল নীতি গ্রহণ করলেও সাম্প্রদায়িক শক্তি নানা অজুহাতে নানাভাবে ধর্মীয় সংখ্যাল সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মিথ্যা অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, মন্দিরে হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছে। সকল ক্ষেত্রে দলীয় আদর্শ বিসর্জন দিয়ে অনেকেই এইসব সংঘবন্ধ আক্রমণে সামিল হচ্ছেন। নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply