অনলাইন ডেস্ক:
যত্রতত্র রাস্তা নির্মাণ বন্ধে পরিকল্পিত উপায়ে সারা দেশে রাস্তা নির্মাণে মাস্টারপ্ল্যান করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল বুধবার অনলাইনে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি একথা জানান।
প্রকল্পের অস্বাভাবিক ব্যয় বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী নতুন রাস্তা নির্মাণের পর এর গুণগত মান ধরে রাখতে মেনটেইন করার বিষয়ে অবজারভেশন দিয়েছেন। হয়তো তিন কিলোমিটার সেভ করতে গিয়ে পুরো রাস্তা ফসলি জমি দিয়ে যাচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যটাকে আরও জোরদার বা অর্থবহ করার জন্য সারা দেশে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম বলেন, মাস্টারপ্ল্যান করার জন্য একটি কমিটি করতে বলা হয়েছে। আমরা দেখি কীভাবে কী করা যায়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পুরো সরকারের অ্যাক্টিভিটিজগুলো সমন্বয় করে। তাই এটার দায়িত্ব আমাদের ওপর পড়েছে।
এদিকে দেশে খেলাপি ঋণ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক অকার্যকর হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তবে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল কোনো কথা বলেননি।
এদিকে বুধবার অনলাইনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ৩৩৪ কোটি ৪০ লাখ ৬১ হাজার ৩৮৩ টাকা ব্যয়ে চার ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এ ছাড়া একটি বাতিল প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম বলেন, মাস্টারপ্ল্যান করার জন্য একটি কমিটি করতে বলা হয়েছে। আমরা দেখি কীভাবে কী করা যায়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পুরো সরকারের অ্যাক্টিভিটিজগুলো সমন্বয় করে। তাই এটার দায়িত্ব আমাদের ওপর পড়েছে।
সভা শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে জিওবি হতে ২২৯ কোটি টাকা এবং ঋণের পরিমাণ বিশ্বব্যাংক এবং দেশীয় ব্যাংক হতে ১০৫ কোটি ১৮ টাকা। অর্থমন্ত্রী বলেন, ঢাকা সিটি নেইবারহুড আপগ্রেডিং প্রোজেক্ট (ডিসিএনইউপি) প্রকল্পের জন্য ৫টি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছে সরকার। প্রতিষ্ঠানগুলো হল- দোহা ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড, জাংগলিম আর্কিটেক্ট কোম্পানি লিমিটেড, দেব কনসালটস লিমিটেড, ডিজাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানিং লিমিটেড এবং তানিয়া করিম এন আর খান অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস।
এ ছাড়া ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-পাকশী-দাশুরিয়া জাতীয় মহাসড়কের কুষ্টিয়া শহরাংশ ৪ লেনে উন্নীতকরণসহ অবশিষ্টাংশ উন্নীতকরণ প্রকল্পের পূর্ত কাজের জন্য জহিরুল লিমিটেডকে দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৪১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আর ‘শরীয়তপুর (মনোহর বাজার)-ইব্রাহিমপুর ফেরীঘাট পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পের পূর্ত কাজ সম্পাদনে প্রস্তাবটি বাতিল করা হয়েছে।