সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার বালিথায় শিশু আলিফ ফরহাদকে নৃর্শসভাবে নির্যাতনের অভিযোগে মামী রানী বেগম(২২) ও ছোট মামা আশিকুজ্জামান(১৬) আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার( ১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় দেবহাটা উপজেলার চরবালিথা গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন চরবালিথা গ্রামের আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী ও ছোট ভাই ও তারা তারা দু জনই নির্যাতিত শিশুটির আপন মামা ও মামী। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ।
এদিকে শিশুটির একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। আরেকটিও আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে রাজধানীর জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে ।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, শিশুটির বড় মামা আশরাফুল দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার সুবাবে বড় মামীর রানী বেগমের সাথে ছোট মামা আতিকুজ্জামানের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ছোটমামা আশিকুজ্জামান ও বড় মামী রানী বেগমকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় নানীর সাথে বলে দেওয়ায় ভয়ে পাঁচ বছরের শিশু আলিফ ফারহাদকে নির্মমভাবে হত্যাচেষ্টা করে তার চোখ চুরি দিয়ে খুঁচিয়ে তোমার চেষ্টা করে এবং মুখ কেটে ফেলতে চেয়েছিলো পরে শিশুকে মরা ভেবে দুজনে মিলে নদীর ধারে ফেলে রেখে আসে, পরে স্থানীয়রা শিশুটিলে মরা পরে থাকতে দেখো তাদের বাড়িতে খবর দিলে ছোট মামা আশিকুর সকলের সহন্দের চোখ থেকে মুক্তি পেতে সে নিজেই স্থানীয়দের সাথে করে শিশু আলিফ ফরহাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা চরবালিথা গ্রামের মঈনুদ্দীন সরদার বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা করলে পুলিশ দেবর – ভাবিকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে (১৪ মার্চ) দুপুরে চরবালিথা এলাকায় মরিচ্চাপ নদীর পাঁড় থেকে ক্ষত-বিক্ষত ওই শিশুকে মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে তারা তাকে দ্রুত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বিকালে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
শিশুটির পিতা মঈনুদ্দীন সরদার জানান, আমার প্রথম স্ত্রী শারমীন সুলতানা মারা যাওয়ার পরে শিশু পুত্র আলিফ একই গ্রামে তার নানী সকিনা খাতুনের কাছে থাকত। সৎ মায়ের অত্যাচার ছেলেটাকে যেন সইতে না হয়, সে জন্য তার নানীর কাছে তাকে রাখা হয়েছিল। তবে, ওর মামি রাণী বেগম প্রায়ই তার উপর অত্যাচার করত বলে তিনি আরো জানান।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ছোটমামা আশিকুজ্জামান ও বড় মামী রানী বেগমকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শিশুটির মামী রানী বেগম (যাকে সে মা বলে ডাকতো) তাকে বসত ঘরের মধ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই চোখ খুচিয়ে-খুচিয়ে মারাত্মক ভাবে রক্তাক্ত জখম করে এবং তার চোখের আশে পাশে, মুখমন্ডলে, নাকেমুখে, ঠোটে রক্তাক্ত জখম করে। এরপর রানী বেগম শিশুটিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুত্বর জখম করে। শিশু আলিফ মৃত্যুবরণ করেছে মনে করে ফেলে রেখে যায়।