অনলাইন ডেস্ক:
প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে তাকে হেনস্থা করা এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘তাকে আটকে রেখে কোন ধরনের নির্যাতন বা আঘাত করা হয়নি। বরং তিনি নিজেই মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছিলেন।’
পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, তার কাছে থাকা ফাইলগুলো ফেরত নেবার জন্য তাকে বড়জোর আধাঘণ্টা আটক রাখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এবং এরপর পুলিশ উপস্থিত হয়ে ঘটনার নিয়ন্ত্রণ নেয়।
মঙ্গলবার (১৮ মে) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলানগরে এসব মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এর আগে রোজিনা ইসলামেকে গ্রেপ্তারের ঘটনা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তার অবস্থান ব্যাখ্যা করতে সংবাদ সম্মেলন ডাকলেও সচিবালয়ে দায়িত্ব পালন করেন এমন সাংবাদিকরা তা বর্জন করেন।
রোজিনা ইসলাম করোনাভাইরাসের টিকা সম্পর্কে রাশিয়া ও চীনের সাথে সম্প্রতি স্বাক্ষর করা চুক্তি বিষয়ক নথিপত্র নেবার চেষ্টা করছিলেন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “যে ফাইলগুলো সে নিয়েছে সেগুলো ছিল (করোনাভাইরাসের ) টিকা সংক্রান্ত। এগুলো গোপন নথি। আমরা রাশিয়ার সাথে যে টিকা চুক্তি করছি, চীনের সাথে চুক্তি করছি, এগুলো নন ডিসক্লোজার চুক্তি। আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে বলেছি যে আমরা এটা গোপন রাখবো। তো সেগুলো যদি বাইরে চলে যায় তাহলে রাষ্ট্রীয়ভাবে আমরা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলাম এবং আমাদের তারা টিকা নাও দিতে পারে। এতে দেশের বিরাট ক্ষতি হতে পারে।”
উল্লেখ্য, সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরির চেষ্টা ও মোবাইল ফোনে ছবি তোলার অভিযোগে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য সচিবের পিএস-এর কক্ষে পাঁচ ঘণ্টার মতো সময় আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং রাতেই তার বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস আইনে মামলা করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সেই মামলার শুনানি শেষে আদালত মঙ্গলবার রোজিনা ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে।