সরাইল প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউপি উপ-নিবার্চন ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে। সকাল ভোটাররা সারিবদ্ধ ভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। উপজেলা চুন্টা ইউনিয়ন এলাকার কোথায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। মঙ্গলবার(২০ অক্টোবর )সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৫ টায় শেষ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য সর্তকবস্থায় রয়েছে।সকাল থেকেই ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। নারী ও পুরুষ ভোটার লম্বা লাইন দাড়িয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছে। চুন্টা ইউনিয়নে ২৪ হাজার ৫১ জন ভোটার ভোট প্রদান করেন।সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিশেষ করে র্যাব, বিজিবি’র ও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।সরাইল উপজেলা চুন্টা ইউপি উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন প্রার্থী। চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ মোঃ হাবিবুর রহমান (নৌকা), হাজী মোঃ বাহার মিয়া ( লাঙ্গল), মোঃ হুমায়ুন কবির (আনারস) আলহাজ্ব আছাদ উল্লাহ (মিনার)। সরাইল উপজেলা চুন্টা ইউপি উপ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাররা ভোট দিতে পেরে প্রশংসা করেছেন প্রশাসনের। প্রশাসনের এমন সুন্দর ভূমিকায় ভোটাররা কোনদিন ভুলবে না। এ নির্বাচন নজির হয়ে থাকবে বলে এখন এলাকার মানুষের মুখে- মুখে।।এদিকে নির্বাচনের শেষ সময় রসুলপুর উওর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জালভোটের দায়ে তিন জন মহিলাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজা পারভীন।এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী শেখ মোঃ হাবিবুর রহমান ৫৩৯৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পাটির মনোনীত প্রার্থী হাজী মোঃ বাহার মিয়া লাঙ্গল প্রতীক পেয়েছেন ৪৫১৯ ভোট মোঃ হুমায়ুন কবির আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪৪৭০ ভোট, আছাদ উল্লাহ মিনার প্রতীক পেয়েছেন ১১৭ ভোট।মঙ্গলবার( ২০ অক্টোবর ) সন্ধ্যায় সরাইল উপজেলা রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মাহবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।এর আগে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।প্রসঙ্গত, সরাইল উপজেলা চুন্টা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান মিয়া মৃত্যুবরণ করলে চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়। এই ইউপির মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার৫১ জন।