সরাইল প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল বিশ্বরোড় সহ নয়টি ইউনিয়নে অন্য ছোট-বড় মোড়গুলো থেকে শুরু করে গ্রামীণ হাটবাজার কোথাও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হচ্ছে না। মাস্ক ব্যবহারে মোটেই উৎসাহ দেখাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। আর সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়টি শুধুই কাগজপত্রে। ইতিমধ্যে কভিডের দ্বিতীয় ধাক্কা শুরু হয়েছে। ইউরোপের কোনো কোনো দেশে ইতিমধ্যে জারি হয়েছে সতর্কতা। বাংলাদেশে এখনো প্রতিদিন গড়ে ২৫ জনের বেশি লোক কভিড আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যবিধি মানলেই কভিডের আঘাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এজন্য জনসচেতনতার বিকল্প নেই।সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিশ্বরোড এলাকায় গণ পরিবহনসহ রাস্তার দু’ পাশে ফুটপাত বা দোকানে অল্পকিছু মানুষের মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যায়। বাকি যাত্রী বা পথচারীরা মাস্ক ছাড়া গণ পরিবহণে যাতায়াত করছে। স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নেই তাদের মাঝে। অনেক গাড়িতে চালক বা হেলপারদের মুখে মাস্ক নেই।সরাইল উপজেলার হাওর বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, করোনা ভাইরাস একটি মারাত্মক ব্যাধি তা অনেকেই ভুলে গেছে। কভিড-১৯ মহামারী আমাদের ছেড়ে যাচ্ছে না শিগগিরই। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক ব্যবহার ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো কিছু সহজ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই করোনার সংক্রমণ অনেকাংশে প্রতিরোধ করা যায়। তবু মানুষ এগুলো মানছে না। এদিকে ১০ মে থেকে সারা দেশে সীমিত আকারে সব ধরনের দোকানপাট খুলে দেওয়ার পর করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। লকডাউনমুক্ত পরিবেশে লোকজন সামাজিক, শারীরিক দূরত্ব ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে চলাফেরা করার ফলে শীতের মধ্যে পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি ঘটতে পারে এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে। অফিস, হাসপাতাল থেকে বাস, ট্রেনসহ অন্যান্য গণপরিবহন,শপিং মল, কাঁচাবাজার সর্বত্র মাস্ক ব্যবহারের পরিমাণ কমে গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়-ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি ও কভিড -১৯ নিয়ে সরকারের সব নির্দেশনা সর্বস্তরে মানা হচ্ছে কি? কোন কোন অফিসে গেলে দেখা যায় বারিন্দায় লেখা মাস্ক ছাড়া ভিতরে ঢুকবেন না। তবে ভিতরে যে অফিসার বসে আছেন, ওনাদের মাস্ক দেখতে পাওয়া যায় না।এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যবিধি মানলেই কভিডের আঘাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এজন্য জনসচেতনতার বিকল্প নেই।