অনলাইন ডেস্ক:
সরকারের উন্নয়ন ভালো লাগে না যাদের, তারা সরকারকে হটাতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তারা সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
কৃষক লীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বুধবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গতকাল সপ্তাহব্যাপী এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেখি, প্রায়ই শুনি বক্তৃতায়, আমাদের দেশে কিছু নেতা আছে, দুঃসময়ে মানুষের পাশে কতটুকু দাঁড়িয়েছে, সেটা জানি না। করোনাকালীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করেছে কি না, সেটার কিন্তু কোনো লক্ষণ আমরা দেখি নাই। তবে তারা খুব আন্দোলনের জন্য ব্যস্ত। এখানে বিএনপি-জামায়াত জোট, তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আমাদের মান্না সাহেব, ড. কামাল হোসেনসহ তাঁদের এক গ্রুপ। সেই সঙ্গে আবার যুক্ত কমিউনিস্ট পার্টি এবং আমাদের বাম দল। এই যে বাসদ-টাসদ আর কারা কারা। তারা সবাই নাকি এক হয়ে আন্দোলন করবে আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাবে। ’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষকে আবারও অন্ধকার ও দুর্দশার যুগে নিয়ে যাওয়ার জন্যই আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। কী কারণে তারা সরকারকে উচ্ছেদ করতে চায়? আসলে তারা জনগণকে এই সরকার যেসব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, তা থেকে বঞ্চিত করতে চায়। এটাই কি তাদের আসল উদ্দেশ্য?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার দেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং তৃণমূল পর্যায়ের ও গ্রামীণ এলাকার মানুষ তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের সুফল পাচ্ছে। এ জন্যই শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার প্রয়োজন তাদের। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, আমাদের অপরাধটা কী?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষি ইস্যুতে গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে, যাতে দেশ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ইস্যুর পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদনে ইতিবাচক ফলাফল পেতে পারে। এ ব্যাপারে সরকার দেশের গণমানুষের কল্যাণে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে, প্রায় শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত হয়েছে এবং ভূমিহীন লোকদের ঘর ও জমি দেওয়া হচ্ছে। ঘর ও জমি পেয়ে লোক ভালো আছে এবং তারা নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে। এটা কি আওয়ামী লীগ সরকারের অপরাধ? তাহলে কেন এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশে এক শ বিশেষ অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করেছি। এখানে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে। আমরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের অর্থনৈতিক জোন করার কথা ভাবছি। দেশের প্রতিটি এলাকায় সড়ক, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করেছি। এতে জনসাধারণের চলাচল সহজ হয়েছে, অথচ তারা (সরকারের বিরোধীরা) এসব পছন্দ করে না। ’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ ও স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। কৃষক লীগের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন