পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশি একজন সাংবাদিক বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করি। আমি শুধু এটিই বলব, আগেও অনেক বার বলেছি। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে জনগণেরই তার ভবিষ্যৎ সরকার ঠিক করা উচিত।
বাংলাদেশি সাংবাদিকের পরের প্রশ্ন ছিল, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোকে সংলাপে বসার চিঠি দিয়েছেন। বিরোধী দলের অধিকাংশ নেতা যখন কারাগারে তখন কীভাবে সংলাপ হবে? সরকারের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন ও পাঁচজন কর্মী হত্যার অভিযোগ তুলে তিনি জানতে চান, বিরোধী দল কীভাবে চিঠি পেল? এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সংলাপ হবে?
আমরা কোনো একটি দলের বিরুদ্ধে বা অন্য কোনো দলের পক্ষে অবস্থান নেই না। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করি।’
এদিকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে ওয়াশিংটন কিছুই বলবে না। সোমবার রাতে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এ কথা জানান।নয়াদিল্লিতে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হয় গত শুক্রবার।
ওই বৈঠক নিয়ে সেদিনই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা জানান, বাংলাদেশ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারত তার অবস্থান স্পষ্টভাবে জানিয়েছে। তবে বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি।