Friday , 22 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
সরকারের সহযোগিতায় বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব
--ফাইল ছবি

সরকারের সহযোগিতায় বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব

অনলাইন ডেস্ক:

বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ পর্যবেক্ষণের জন্য অনুকূল নয়—এমন মূল্যায়নের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) জানিয়েছে, সরকারের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব। সরকারও সে লক্ষ্য অর্জনের জন্য বারবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে, এ বিষয়ে তাদের প্রচেষ্টার প্রতি ইইউর সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

গত শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলিকে পাঠানো এক চিঠিতে এসব কথা লেখেন।

চলতি বছরের জানুয়ারি ও জুলাই মাসে বাংলাদেশ সফরকারী ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনুসন্ধানমূলক মিশনের মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে ইইউর পক্ষ থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে লেখা রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির ওই চিঠিতে বলা হয়, অনুসন্ধানমূলক মিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে এবং ২০২৩-২৪ সালের জন্য ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের বাজেট বিবেচনায় নিয়ে হাইরিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেপ বোরেল পূর্ণ মাত্রার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার গত শনিবার ইইউর ওই চিঠিরই জবাব দেন। এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক পাঠানো সংক্রান্ত ১৯ সেপ্টেম্বরের চিঠিটি পেয়েছি। আমি এই সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে জানাতে চাই, প্রয়োজনীয় সহায়তার মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য একটি নির্বাচন নিশ্চিত করা যায়।

চিঠিতে আরো বলা হয়, স্থানীয় ও বিদেশি পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণ দেশে ও দেশের বাইরে আসন্ন নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হিসেবে আরো গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারে। তবে সিদ্ধান্ত যেমনই হোক, আমি বিশ্বাস করি ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের আসন্ন সংসদীয় নির্বাচনকে মুক্ত, অবাধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে প্রয়োজন অনুযায়ী সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

ভিসানীতি প্রয়োগ সরকারের বিষয়

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগ সম্পর্কে গতকাল নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বলা হয়েছে, যে দেশের নীতি এবং যে দেশের জন্য প্রয়োগ হচ্ছে, এটি সেই দুই দেশের সরকারের আলোচ্য বিষয়। নির্বাচন সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের যে সাংবিধানিক দায়িত্ব আছে, কমিশন সে কাজ করে যাবে এবং আপনারা (সাংবাদিকরা) দেখবেন আমরা সঠিকভাবে কাজ করছি কি না।

এবার পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা নিয়ে ইসির কর্মশালা

সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের দ্বিতীয় কর্মশালাটি হতে যাচ্ছে পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা নিয়ে। আগামী ৪ অক্টোবর সকাল ১১টায় নির্বাচন ভবনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নেওয়ার জন্য সাবেক নির্বাচন কমিশনার,  সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।

গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে জানানো হয়, এ কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আলোচনার মাধ্যমে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রার্থী এবং পোলিং এজেন্টের ভূমিকাকে স্পষ্ট করা এবং গণমাধ্যমের সহায়তায় তা প্রচার করা।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply