বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ পর্যবেক্ষণের জন্য অনুকূল নয়—এমন মূল্যায়নের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) জানিয়েছে, সরকারের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব। সরকারও সে লক্ষ্য অর্জনের জন্য বারবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে, এ বিষয়ে তাদের প্রচেষ্টার প্রতি ইইউর সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
গত শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলিকে পাঠানো এক চিঠিতে এসব কথা লেখেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে লেখা রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির ওই চিঠিতে বলা হয়, অনুসন্ধানমূলক মিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে এবং ২০২৩-২৪ সালের জন্য ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের বাজেট বিবেচনায় নিয়ে হাইরিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেপ বোরেল পূর্ণ মাত্রার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ভিসানীতি প্রয়োগ সরকারের বিষয়
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগ সম্পর্কে গতকাল নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বলা হয়েছে, যে দেশের নীতি এবং যে দেশের জন্য প্রয়োগ হচ্ছে, এটি সেই দুই দেশের সরকারের আলোচ্য বিষয়। নির্বাচন সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের যে সাংবিধানিক দায়িত্ব আছে, কমিশন সে কাজ করে যাবে এবং আপনারা (সাংবাদিকরা) দেখবেন আমরা সঠিকভাবে কাজ করছি কি না।
সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের দ্বিতীয় কর্মশালাটি হতে যাচ্ছে পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা নিয়ে। আগামী ৪ অক্টোবর সকাল ১১টায় নির্বাচন ভবনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নেওয়ার জন্য সাবেক নির্বাচন কমিশনার, সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে জানানো হয়, এ কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আলোচনার মাধ্যমে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রার্থী এবং পোলিং এজেন্টের ভূমিকাকে স্পষ্ট করা এবং গণমাধ্যমের সহায়তায় তা প্রচার করা।