Saturday , 23 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে সংসদে বিল পাস
--ফাইল ছবি

সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে সংসদে বিল পাস

অনলাইন ডেস্ক:

সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত, ক্রয়প্রক্রিয়া সহজ ও টেকসই এবং ক্রয়কাজে অবাধ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিল-২০২৩’ পাস হয়েছে। আগামী দিনে এ বিধান অনুযায়ী নতুন একটি অথরিটি (কর্তৃপক্ষ) গঠিত হবে।

গতকাল রবিবার ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। পরে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।

প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন বিরোধীদলীয় সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বেগম রওশন আরা মান্নান, কাজী ফিরোজ রশীদ ও রুস্তম আলী ফরাজী, গণফোরামের মোকাব্বির খান এবং স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাবলু।

সংসদে পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, এ আইনের অধীনে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত আইনগুলোর প্রতিপালন, নিয়ন্ত্রণ, পরিবীক্ষণ, সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানের জন্য বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) গঠিত হবে। বিপিপিএর ১৭ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে, যার চেয়ারম্যান পরিকল্পনামন্ত্রী এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব ভাইস চেয়ারম্যান হবেন।

বিলের ৯ ধারায় কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কার্যাবলিতে বলা হয়েছে, এই কর্তৃপক্ষ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত নীতি, কৌশল ও আইনি কাঠামো প্রণয়ন; বিপিপিএর পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক নীতি প্রণয়ন; বিপিপিএর উন্নয়নসংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন; বিপিপিএর সামগ্রিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ ও বিধিমালা ২০০৮-এর প্রয়োজনীয় সংশোধন আনাসহ সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে।

বিলের ১৫(৪) ধারায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে সরকারি কেনাকাটার তথ্য, দলিল ও নথিপত্র তলবের ক্ষমতা থাকবে বিপিপিএর। তারা কেনাকাটার ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত আইনগুলো সঠিকভাবে মানা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে সব রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ ও নথিপত্র পর্যালোচনা করতে পারবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারি ক্রয়প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ২০০২ সালে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডির অধীনে একটি ইউনিট হিসেবে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) গঠন করা হয়। সরকারের উন্নয়ন বাজেটের পরিমাণ প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে অনুযায়ী সরকারি ক্রয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সরকারি ক্রয়ের এ বর্ধিত কলেবরের আইনি ও কারিগরি তত্ত্বাবধানের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও অবকাঠামো সিপিটিইউতে নেই।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply