Friday , 22 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
সকালবেলা’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক সৈয়দ এনামুল হক এর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী পালন, দোয়া ও তাঁর কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা

সকালবেলা’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক সৈয়দ এনামুল হক এর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী পালন, দোয়া ও তাঁর কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা

স্টাফ রিপোর্টারঃ গতকাল ২৭ অক্টোবর ২০২২ রোজ বৃহস্পতিবার দৈনিক সকালবেলা’র প্রধান কার্যালয়ে বিকাল ৪টায় দৈনিক সকালবেলা এবং দি ডেইলি মর্নিং টাইমস এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক সৈয়দ এনামুল হক এর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সকালবেলা’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকের মৃত্যুর ২ বছর পূর্ণ হলো। উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক ও প্রকাশক বেগম নিলুফার আক্তার এবং নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দা নওশিন হক মিলা, সাংবাদিক তানজিনা আফরিন, শারমিন আক্তার পলি, মুজিবুর রহমান, তুহিন, মফিজুল ইসলাম, ফিরোজ, পলাশ, মনির, রাজিব, বিল্লালসহ আরো অনেকে দোয়া ও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। সম্পাদক বেগম নিলুফার আক্তার মরহুম সৈয়দ এনামুল হক এর জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ব্যক্তি হিসেবে তিনি খুবই ভালো মানুষ ছিলেন, সৎ ভাবে জীবন যাপন করতেন। দীর্ঘ ৩০ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাঁর বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই। কখনো কোনকিছুই অপূর্ণ রাখেনি। দৈনিক সকালবেলা পত্রিকাটি ছিল তার স্বপ্ন, ভীষণ ভালবাসার জায়গা। আমি তার স্বপ্নকে যেকোন মুল্যে বাচিঁয়ে রাখতে চাই। আমি আগামী মাসে অধ্যক্ষ পদ থেকে অবসরে যাবো আমি চাইলে আরো পাঁচবছর অবসরের মেয়াদ বাড়াতে পারতাম। কিন্তু আমি আমার স্বামীর স্বপ্নকে বাচিঁয়ে রাখার জন্য সকালবেলা পত্রিকাটিকে পূর্ণ সময় দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এই অফিসকে তিনি খুব ভালবাসতেন নিজের সন্তানের মত। তিনি আরো বলেন, জনাব হক অসুস্থ অবস্থায়ও অফিসে চলে আসতেন। সংবাদপত্র, সাংবাদিকতা এই নিয়েই দিন কেটেছে তার। সকালবেলা পত্রিকাটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আপনাদের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আমি তাঁর ২য় মৃত্যুবার্ষিকীতে বিন¤্র শ্রদ্ধা ও গভীর ভালবাসা জানাই এবং তারঁ বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি। অন্যান্যের মধ্যে সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, স্যার অনেক সৎ, ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি আমাকে হাতেখড়ি দিয়ে শিখিয়েছেন, কাজের জন্য উৎসাহ প্রদান করেছেন। তিনি এত তাড়াতাড়ি আমাদের ছেড়ে এইভাবে চলে যাবেন এখনো ভাবতে পারছিনা। যতদিন সকালবেলা বেচেঁ থাকবে ততদিন সম্পাদক সৈয়দ এনামুল হক বেচেঁ থাকবেন আমাদের মাঝে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা হয়ে। অফিস সহকারী মনির কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, স্যার আমাকে ফলের দোকান থেকে সচিবালয় নিয়ে গেছেন। স্যার নিজে যা খেয়েছে তাই আমাকে খাইয়েছে বড় বড় রেস্টুরেন্টে যেখানে আমার যাওয়ার কোন যোগ্যতাই নেই সেখানে নিয়ে গেছেন। আজকে যা কিছু করছি ব্যবসা সবকিছুর জন্য অবদান, শিক্ষা, একমাত্র অভিভাবক ছিলেন স্যার। অফিস সহকারী রাজিব কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমাকে স্যার রাস্তা থেকে তুলেন এনে অফিসে কাজ দিয়েছেন, কাজ শিখিয়েছেন, পিতা-মাতার পর একমাত্র অভিভাবক, শিক্ষাগুরু শ্রদ্ধেয় সৈয়দ এনামুল হক স্যার। আমি এখনও মনে হলেই বুকটা ফেটে যায় স্যার করোনাকালীন সময় মাঝে মাঝে আমাকে কল করে খোঁজখবর নিতেন কি করি, কেমন আছি, বলতো অফিসে আসিস আসলেই সহায়তা করতো তোর বিকাশ নাম্বারটা দিস। আমি হাসপাতালে ছিলাম শেষ সময় পর্যন্ত কিন্তু আমার দূভার্গ যে দিন চলেগেলেন সেই রাতে আমাকে হাসপাতালে থাকতে বলেন পরে আবার বলেছেন রাজিব তুই বাসায় চলে যা তোর মেডাম থাকবে এই শেষ কথা, শেষ দেখা স্যারের সাথে। বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। মসজিদের সহকারী ইমাম সাহেব বলেন, সম্পাদক স্যারকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। তিনি মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। সবসময় ন্যায় কথা বলতেন। নামাজে আসলেই আমার সাথে কথা হতো খোঁজখবর নিতেন। মানুষ মারা গেলে তিনটি আমল বহাল থাকে ১। সদকায়ে জারিয়া, ২। নেক আমল ও সুসন্তান, ৩। এলেম বা শিক্ষা, যে শিক্ষাদ্বারা মানুষ উপকৃত হয়।
তিনি বলেন, প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর সাধ গ্রহণ করতে হবে। তিনি সকালবেলা’র জন্য দোয়া করেন এবং সম্পাদকের স্ত্রী ও সন্তানদের সুস্থ ও নেক হায়াত কামনা করেন। উপস্থিত সবাইকে নিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন। প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সৈয়দ এনামুল হক এর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply