আজ ১৭ অক্টোবর ২০২১ তারিখ- জাতীয় দৈনিক সকালবেলা এবং The Daily Morning Times এই দুইটি পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক সৈয়দ এনামুল হকের ১ম মৃত্যুবার্ষিকীর মাস শোকাবহ অক্টোবরের ১৭তম দিন। তিনি বিগত ২৭ অক্টোবর ২০২০ তারিখে ইন্তেকাল করেছেন।
দৈনিক সকালবেলা’র সম্পাদক ও প্রকাশক সৈয়দ এনামুল হক ছিলেন স্ত্রীর প্রতি খুবই যত্নবান, আর্দশবান একজন স্বামী। অফিসে বসেই অনলাইনে বাসার আসবাবপত্র কিনতেন। কখনো কখনো ম্যাডামকে চমকে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করতেন। ম্যাডাম অসুস্থ্য হলে তিনি ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়তেন। শত ব্যস্ততার মাঝেও বারবার ফোনে খোঁজখবর রাখতেন এবং অস্থির হয়ে পড়তেন।
একটি বয়সে মা-বাবা বেঁচে থাকেনা, তখন কাছের মানুষ বলতে স্বামী-স্ত্রীর সর্ম্পকই সবচেয়ে কাছের হয়ে থাকে। ছেলে-মেয়ে হয়তো এতোটা বুঝবে না। বয়সের সাথে সাথে সময় বদলায়, কারোর উপর নির্ভরশীল হতে হয়। রোগ ব্যাধিতে আমাকে আজ পর্যন্ত কোনদিন কোথাও একা ছাড়েননি। কখন কোন খাবার খেতে হবে, কোন ঔষধটি খেতে হবে সব খেয়াল রাখতেন। যত্নের কোন কমতি রাখেননি তোমাদের ম্যাডাম। তিনি সবসময় স্ত্রীর প্রশংসা করতেন। স্ত্রীর স্বাধীনতায় কখনো হস্তক্ষেপ করেননি বরং সহায়তা করেছেন সর্বক্ষণ। তিনি আমাদেরকে বলতেন, আমি অফিসে আসলে বার বার ফোনে মনে করিয়ে দিতেন। আমি একদিন বিএসপি’র আলোচনা সভায় গিয়েছিলাম। আসতে একটু দেরি হয়ে যায়। দুপুরে খাবার খেতে বাসায় যেতে পারিনি। বিকাল ৪টায় হঠাৎ স্যার বেরিয়ে যাচ্ছেন এবং আমাদেরকে বললেন, তোমাদের ম্যাডাম না খেয়ে বসে আছে, আমি এখন বাসায় যাচ্ছি। তোমরা কাজ করতে থাক আমি বাসা থেকে আসতেছি। আমরা স্যারের অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু স্যার ফোন করে বললেন, আমি অসুস্থ্যবোধ করছি। আজ আর অফিসে আসতে পারবোনা। আগামীকাল ঠিক সকাল ৯ টায় অফিসে আসবো। সময়ের প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেন। বলতেন সময় এবং নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়। জীবনে সফলতা পেতে হলে সময়ের মুল্য দিতে হবে।
আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। মহান আল্লাহ্পাক তাঁকে বেহেস্ত নসীব করুন-আমিন। —–চলবে।