শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:
খাদ্য উদ্বৃত্ত শেরপুর জেলায় আমন ধান কাটার সময় হয়ে গেছে। আমন ধান কাটাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে শেরপুরের কামারেরা।
লোহা ও হাতুড়ির টুংটাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে শেরপুরের কামারশালাগুলো। আমন ধান কাটাকে সামনে রেখে কাস্তে, ধান মারাইয়ের ফাল এবং ধান কাটা শেষে প্রয়োজন হবে কোদাল। এসব তৈরী ও মেরামতে করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামারেরা। প্রতি বছর এ সময়টায় যেনো কামারেরা নিশ্বাস নেওয়ার সময়ই পান না। কৃষকরা তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী মেরামত ও নতুনকরে বানানোর জন্য ভীর করছে কামারদের ওখানে।
শুক্রবার ১৩ নভেম্বর শেরপুর পৌর এলাকার আখেরমামুদরে বাজার ও মোবারকপুরের বেশ কিছু কামারশালা ঘুরে দেখা গেলো কামারদের কাজের ব্যন্ততা। রশিদ কামার, জামিল কামার, হামজা কামার, ফরিদ কামার সহঅন্যসব কামার ও তাদের সহযোগীরা দেদারসে কাজ করছে। তাদের কারো সাথে কথা বলার সময়ও যেন নেই। হাপর দিয়ে কয়লা আগুনে বাতাস দিয়ে কাস্তে, ধান মারাইয়ের ফাল আর কোদাল বানানোর কাজ করছিলেন তারা।
এসময় কথা হয় কয়েক জনের সাথে, এখানে আসা কাজিরচর এলাকার কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, আমাগো এহন ধান কাটার সময় হইছে। এহন আমাগো ধান কাটার জন্য কাচিঁর খুব দরকার। তাই ৩/৪টা কাচিঁ বানানোর লাইগে সকাল থেকে আইসা বইসে আছি। সিরিয়ালি পাইতাছি না।
আরেক কৃষক মালেক মিয়া জানালো, ধান বাইরানোর ফাল দরকার এই জন্য আইছি। আরেডা কোদাল ধারিদিবার জন্য আইছি।
কাজ করতে করতে কামার রশিদ কামার বলেন, ধান কাটার সময় হওয়ায় এখন কাচিঁ বানানো ও মেরামত কামই বেশী। ধান মারাইয়ের ফালও বানাইতেছে অনেকেই। আবার অনেক কৃষক আগেবাগেই কোদাল বানাইতাছে, সান দিয়ে নিতাছে। বর্তমানে আমাগো কাম খুব বেশী। রাতদিন পরিশ্রম করছি আমরা। টেহা পয়সা না থাকায় গ্যাসের চুলা আমাগো নাই। তাই কয়লা পুরেই কাম করণ নাগতাছে।
হামজা কামার বলেন, এহন কয়লা পাওয়া যায় কম। তাই কাম করা খুব কষ্ট অইতাছে। তাও মানুষের চাহিদা মিটাবার চেষ্টা করতাছি।
শেরপুর জেলার ৫টি উপজেলার সব হাট-বাজারের কামারশালাগুলোতেই এখন কাস্তে বানানোর ভীর। সবাই ব্যস্ত কৃষকরে কাজ করার নানা যন্ত্র বানাতে।