অনলাইন ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকে নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) টিকা, মুজিববর্ষ, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ ও ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের বিষয়ে আলোচনা হবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ আসন্ন শীর্ষ বৈঠকে সীমান্তে হত্যা বন্ধ এবং ভারতের ঋণে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি আনার ওপর জোর দেবে। এ ছাড়া পানি খাতে সহযোগিতা, বাণিজ্য সহজীকরণ, কভিড মোকাবেলায় সহযোগিতা দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ওই বৈঠক থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫৫ বছরের পুরনো একটি রেলপথে আবারও ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত একটি সড়ক পুনরায় চালু ও চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পরে।
আসন্ন শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তুতি নিতে গত সপ্তাহে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আন্ত মন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা ও নয়াদিল্লির সূত্রগুলো বলছে, আগামী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১১টায় ভার্চুয়াল বৈঠক শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলতে পারে। বৈঠক থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রুটে রেল যোগাযোগ উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত মুজিবনগর-ভারত সড়ক খুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে।
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী সম্প্রতি বলেছেন, ভারতের কাছে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আমাদের জনগণ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্ভাব্য সবচেয়ে নিবিড়তম সম্পর্ক চায়।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে সেই অনুষ্ঠান স্থগিত করায় মোদির সফরও স্থগিত হয়। কভিড মহামারির কারণে বর্তমানে শীর্ষ পর্যায়ে সফর বিনিময় বন্ধ রয়েছে। আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।